সাগরদিঘির পর আবার মুর্শিদাবাদে বাম-কংগ্রেস জোটের কাছে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। বার কাউন্সিলের নির্বাচনে। —প্রতীকী চিত্র।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর জেলায় আবার ধাক্কা রাজ্যের শাসকদলকে। সাগরদিঘির পর আবার মুর্শিদাবাদে বাম-কংগ্রেস জোটের কাছে ধরাশায়ী হল তৃণমূল। বার কাউন্সিলের নির্বাচনে।
মঙ্গলবার লালবাগ মহকুমা আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচনে বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা সম্পাদক এবং সভাপতি পদে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন। সাগরদিঘি উপনির্বাচনের পর বার অ্যাসোসিয়েশনের গুরুত্বপূর্ণ দুই পদে জোট প্রার্থীর নিরঙ্কুশ জয়ে মুর্শিদাবাদের রাজনৈতিক পালাবদলের ইঙ্গিত দেখছেন সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব। যদিও আদালতের আইনজীবীদের ভেটের ফলকে গুরুত্ব দিতেই নারাজ তৃণমূল।
মঙ্গলবার মোট ২৫৪ জন ভোটদাতা আইনজীবীর মধ্যে ২১৬ জন ভোট দেন। সন্ধ্যা থেকে শুরু হয় ভোট গণনা। ফলাফলে দেখা গেল নির্বাচনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থীদের কাছে বড় ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন। বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী সম্পাদক পদে মহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ১২৩টি ভোট পেয়েছেন। অন্য দিকে, তৃণমূল প্রার্থী মহম্মদ মনিরুজ্জামানের পেয়েছেন ৮৪টি ভোট।
পাশাপাশি বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পদে তৃণমূল প্রার্থী মোশারফ হোসেন পেয়েছেন ৮৪টি ভোট। বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থিত প্রার্থী সাইদুরজামান সরকার ইলিয়াসের প্রাপ্ত ভোট ১২৫। ৪১ ভোটের ব্যবধানে তৃণমূল প্রার্থীদের হারিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতির পদ নিজেদের দখলে রাখতে সক্ষম হয়েছে বাম-কংগ্রেস জোট।
এ নিয়ে জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ‘‘সাগরদিঘি উপনির্বাচন যে পরিবর্তনের সূচনা করেছে, তার মধ্য দিয়ে আগামিদিনে মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। পর পর ভোটে শাসকদলের হার তারই ইঙ্গিত।’’ যদিও তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খানের দাবি, ‘‘আইনজীবীদের ভোট এবং সাধারণ নির্বাচন সম্পূর্ণ আলাদা প্রেক্ষাপটে হয়। এর সঙ্গে রাজনীতির সরাসরি কোন যোগ নেই।’’
প্রসঙ্গত, সদ্য শেষ হওয়ার সাগরদিঘি উপনির্বাচনে আগাম প্রার্থী ঘোষণা করেছিল কংগ্রেস। সেই প্রার্থীকে নিঃশর্ত সমর্থন জানিয়েছিল বামেরা। বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে ২৩ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হন বাইরন বিশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy