E-Paper

অপরিষ্কার শ্মশান নিয়ে ক্ষোভ

শ্মশানের কাছেই রয়েছে দু'টি বিদ্যালয়। এ বিষয়ে পুরসভার তরফ থেকে অতি সত্বর পদক্ষেপ করা উচিত বলে, মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রদীপ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ০৭:৫৩
শ্মশান চত্বরে পড়ে রয়েছে একাধিক আসবাব।

শ্মশান চত্বরে পড়ে রয়েছে একাধিক আসবাব। নিজস্ব চিত্র।

বেশ কয়েক বিঘা জায়গা জুড়ে রয়েছে জিয়াগঞ্জ নিস্তব্ধ শ্মশান চত্বর। তার মধ্যেই যেখানে সেখানে পড়ে রয়েছে মৃত ব্যক্তির ব্যবহৃত খাট, বিছানা, চাদর-সহ একাধিক আসবাব।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জিয়াগঞ্জ শ্মশানে ভগবানগোলা-সহ জিয়াগঞ্জ সংলগ্ন একাধিক গ্রামের মানুষজন শবদাহ করতে আসেন। শ্মশানের আশেপাশে যে ভাবে স্তূপীকৃত ভাবে মৃতদেহের ব্যবহৃত আসবাব দিনের পর দিন পরে থাকে, সেটি কোনওভাবেই দৃষ্টিনন্দন নয়। সেখান থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু ছড়ানোর আশঙ্কাও রয়েছে।

শ্মশানের কাছেই রয়েছে দু'টি বিদ্যালয়। এ বিষয়ে পুরসভার তরফ থেকে অতি সত্বর পদক্ষেপ করা উচিত বলে, মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ অবশ্য বলেন, “পুরসভার তরফ থেকে কিছু দিন অন্তর মৃতদেহের ব্যবহৃত আসবাব অন্যত্র তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।”

লালগোলার বাসিন্দা মনোহর হালদার নিকট জনের দেহ নিয়ে শেষকৃত্য সারতে এসেছিলেন জিয়াগঞ্জ শ্মশানে। তিনি বলেন, “শ্মশানের পরিবেশ খুব ভাল। তবে মৃতদেহের ব্যবহৃত আসবাব রাখার জন্য নির্দিষ্ট একটা জায়াগা চিহ্নিত করা উচিত পুরসভার।” মনোহর আরও বলেন, “বর্তমানে জিয়াগঞ্জ শ্মশানে একটি বৈদ্যুতিক চুল্লি রয়েছে। পাশাপাশি আরেকটি চুল্লি স্থাপন করলে এলাকার মানুষের অনেক সুবিধে হয়।” পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ বলেন, “২০০৬ সালে প্রথম বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপন হয়। কয়েক বছর পরে সেটি খারাপ হয়ে যায়। ২০১৯ সালে নতুন চুল্লি বসানো হয়েছে। অবিলম্বে সেখানে দ্বিতীয় বৈদ্যুতিক চুল্লি বসানো হবে। শ্মশানের সীমারেখা চূড়ান্ত করে প্রাচীর দেওয়া হবে। কয়েক মাসের মধ্যেই সেখানে কাজ শুরু হবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jiaganj

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy