—ফাইল চিত্র।
অভয় পেয়েও কাটছে না ভয়!
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের ‘তিক্ত’ অভিজ্ঞতা থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়েছেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারা। ভোটারদের ভয় ভাঙাতে তাঁরা দোরে দোরে ঘুরছেন।
ভীত ভোটাররা জানতে চাইছেন, ‘স্যর, এ বারেও সেই পঞ্চায়েতের মতো হবে না তো? সে বার যা হল!’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
আশ্বস্ত করছেন কর্তারাও, ‘কিছু হলে, কেউ ভয় দেখালে সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জানান। আগে কী হয়েছে, ভুলে যান!’
কিন্তু ভুলতে চাইলেও কি ভোলা যায়!
জেলা প্রশাসনের কর্তাদের সামনেই বহু ভোটার জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে এই আশ্বাসে কিস্যু হবে না। ভয় আরও বাড়বে।
বিরোধী দলগুলি নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনের উপর তাদের আস্থা নেই। ফলে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট করানো অসম্ভব।
তবে নির্বাচন কমিশন থেকে যে ইঙ্গিত মিলেছে, সেখানে দেখা যাচ্ছে সব বুথে দেওয়ার মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী পাচ্ছে না মুর্শিদাবাদ। ফলে জেলার প্রায় অর্ধেক বুথে রাজ্য পুলিশের প্রহরায় নির্বাচন করতে হতে পারে।
যদিও মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক পি উলাগানাথনের দাবি, ‘‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবে নির্বাচন করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্পর্শকাতর, অতি স্পর্শকাতর এবং স্বাভাবিক বুথ চিহ্নিত করা হয়েছে। কমিশন থেকে যেমন কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে, সেই অনুযায়ী তাদের মোতায়েন করা হবে।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় ৯৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। এ বারে মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গিপুর কেন্দ্রের জন্য ৯৩ কোম্পানি এবং বহরমপুর কেন্দ্রের জন্য প্রায় ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মুর্শিদাবাদে আসতে পারে।
জেলায় ৫৭০৬টি বুথ আছে। বুথ পিছু চার জন করে (হাফ সেকশন) কেন্দ্রীয় বাহিনী দিলে প্রায় ২৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত জেলার দু’দফায় নির্বাচনে ১৩৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার ইঙ্গিত মিলেছে। ফলে অর্ধেকেরও কম বুথে থাকতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
তার পরেও সাধারণ ভোটার ও বিরোধী দলের নেতাদের প্রশ্ন, ‘‘গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে যা ঘটেছে তা ভাবলে এখনও শিউরে উঠতে হয়। তা হলে কি এ বারেও সেই ভয়ের ভোট?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy