Advertisement
E-Paper

বাস উল্টে জখম ৪০

মাত্র ক’দিন আগেই মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে বাস দুর্ঘটনায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়। তারপরেও চালকদের হুঁশ ফেরেনি বলে অভিযোগ উঠল বুধবার

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০০:৩৫
চলছে উদ্ধার কাজ। নিজস্ব চিত্র

চলছে উদ্ধার কাজ। নিজস্ব চিত্র

মাত্র ক’দিন আগেই মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে বাস দুর্ঘটনায় ৪২ জনের মৃত্যু হয়। তারপরেও চালকদের হুঁশ ফেরেনি বলে অভিযোগ উঠল বুধবার। এ দিন ভোরে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে একটি বেসরকারি বাস উল্টে যায় নয়ানজুলিতে। ৪০ জন যাত্রী জখম হয়েছেন। নবদ্বীপ থেকে ওই বেসরকারি বাসটি কোচবিহার যাচ্ছিল। চালক পলাতক।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বাসটি খুবই জোরে যাচ্ছিল। বারণ করা সত্ত্বেও চালক শোনেননি বলে অভিযোগ। তার উপরে যে এলাকায় বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সেই এলাকায় একটি বাঁক রয়েছে। ঘন কুয়াশার জেরে চালক ওই বাঁক দেখতে পাননি বলে অনেকে মনে করছেন। করণদিঘি থানার তিতপুকুর জাতীয় সড়কের উপরে ওই এলাকাতে কেন পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি নেই, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

আহতদের করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে এবং রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আহত বাসযাত্রীরা জানান, বেশিরভাগই ভোরে ঘুমোচ্ছিলেন। আচমকা শব্দ শুনে দেখেন, একটি গর্তের মধ্যে সকলে ঝুলছেন। এক যাত্রী বলেন, ‘‘কোনও মতে প্রাণে রক্ষা পেয়েছি।’’

করণদিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে বেডে শুয়ে জখম কোচবিহারের বাসিন্দা মৌসুমী দাস বলেন, “রাতে ঘুমিয়ে ছিলাম। কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছিনা। আচমকা শব্দে ঘুম ভেঙে গিয়ে দেখি সিট থেকে মেঝেতে শুয়ে পড়ে রয়েছি। নাক দিয়ে রক্ত ঝড়ছে। দেখছি তত ক্ষণে বাস ঝুলছে।’’ কোচবিহারেরই বাসিন্দা মুক্তি বিশ্বাস নামে আর এক যাত্রীর কথায়, ‘‘গতি এত না থাকলে হয়তো দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যেত।’’ অন্য আরও এক জখম যাত্রী শিলিগুড়ির সোফিয়া খাতুন বলেন, ‘‘চালকের কানে মোবাইল ছিল না ঠিকই। কিন্ত চালক এত দ্রুত গতিতে বাসটি চালাচ্ছিলেন যে ভয় করছিল।’’

Accident Death Nabadwip
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy