Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

আয়োজনই সার, আক্ষেপ

আক্ষেপটা তবু রয়েই গেল! দুধসাদা ভাতের সঙ্গে দই শুক্তো, মুগ মশালা, আলুর চিপস, ঝিঙ্গে আলু-পোস্ত, রায়তা, মোচার ঘণ্ট, ছানার মালাই কোপ্তা, চিতলের মুইঠ্যা, চিতল পেটির কালিয়া, খাসির মাংস, আমের চাটনি, পাঁপড়, স্পেশ্যাল দই, রসগোল্লা আর বেনারসি পান—এই লম্বা মেনু যাঁর জন্যে তাঁকেই খাওয়াতে না পারলেন না নিতাই বসাক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নবদ্বীপ শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৫ ০০:২১
Share: Save:

আক্ষেপটা তবু রয়েই গেল!

দুধসাদা ভাতের সঙ্গে দই শুক্তো, মুগ মশালা, আলুর চিপস, ঝিঙ্গে আলু-পোস্ত, রায়তা, মোচার ঘণ্ট, ছানার মালাই কোপ্তা, চিতলের মুইঠ্যা, চিতল পেটির কালিয়া, খাসির মাংস, আমের চাটনি, পাঁপড়, স্পেশ্যাল দই, রসগোল্লা আর বেনারসি পান—এই লম্বা মেনু যাঁর জন্যে তাঁকেই খাওয়াতে না পারলেন না নিতাই বসাক।

মুখ্যমন্ত্রী আসবেন শুনে নবদ্বীপের ক্যাটারিং দুনিয়ায় পরিচিত মুখ নিতাইবাবুকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন নদিয়ার জেলাশাসক পিবি সালিম। ফরমান শুনে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিলেন তিনিও। শুধু সকালের খাবার তো নয়, সন্ধ্যায় ভাজা মুড়ি, বেগুনি, ফিসফ্রাই। সঙ্গে স্পেশ্যাল দার্জিলিং চা। ভাল বিস্কুট। রাতে ফের হাতে গড়া রুটি, স্টাফড পট্যাটো, দেশি চিকেন, রুইমাছ—সঙ্গে স্যালাড।

পরিকল্পনা মতো গত সাত দিন ধরে একটু একটু করে তৈরি হচ্ছিলেন তিনি। এ দিন সাত-সকালেই দলবল নিয়ে রান্নায় নেমেছিলেন নিতাইবাবু। বাজার থেকে নিজের হাতে বেছে বেছে কিনেছিলেন চিতল, রুই। মালাই কোপ্তার ছানা কাটানো হয়েছিল বাড়িতেই। রামকৃষ্ণ ঘোষের দোকান থেকে লালক্ষীর দই, উৎপল ঘোষকে অর্ডার দিয়ে স্পেশ্যাল রসগোল্লা তৈরি করানো—আয়োজন সারা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সাধের সেই রান্না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই খাওয়ানো হল না নিতাইবাবুর! পরিবর্তিত সফরসূচির ফলে তিনি পিএইচই-র অতিথিশালা শান্তশ্রীতে যেতেই পারলেন না তিনি। দুপুরে কৃষ্ণনগর সার্কিট হাউস থেকে মধ্যাহ্নভোজ সেরেই মমতা নবদ্বীপে আসেন। প্রশাসনিক বৈঠক এবং সভা সেরে ফের কৃষ্ণনগরে চলে যান।

হতাশ নিতাইবাবু বলছিলেন, “দুপুরে পঞ্চাশ জনের আয়োজন করতে বলেছিলেন জেলাশাসক। তখন জানতাম মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অনেকেই খাবেন। রাতে হয়তো নবদ্বীপেই থাকবেন। সন্ধ্যা এবং রাতের খাবার বানাতে বলা হয়েছিল আমায়। রাতে জনা কুড়ি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীই এলেন না। খুব খারাপ লাগছে।” সেই আক্ষেপের মাঝে স্বস্তি শুধু একটাই। চটির মাঠের সভা শেষে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়-সহ কয়েক জন সোজা চলে এসেছিলেন শান্তশ্রীতে। তাঁরা পরম তৃপ্তি করেই খেয়েছেন নিতাইবাবুর রান্না। সুব্রতবাবু চিতলের মুইঠ্যা এবং ছানার মালাই কোপ্তার প্রশংসাও করেন।

কিন্তু, মাথাপিছু কত পড়ল? ‘‘দুপুরের মেনু কমবেশি পাঁচশো টাকা প্রতি প্লেট। রাতের মেনু ২০০ টাকা।’’—বললেন নিতাইবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE