চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায় নামে ওই যুবককে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ওই যুবক এলাকায় সরকারি কর্মী বলে পরিচয় দিত। আমার সে এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেও পরিচিত। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতারা সুপ্রভাতক দলের কর্মী বলে মানতে চাননি। ধৃত ওই যুবককে মঙ্গলবার কান্দি আদাতলে পাঠায় পুলিশ। অভিযোগ, কাউকে প্রাইমারি স্কুলে চাকরি , কাউকে ব্লক অফিসে চাকরি করিয়ে দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই যুবক
কান্দি থানার জেমো বিশ্বাসপাড়া এলাকার বাসিন্দা পিঙ্কি খাতুন জানান, তাঁকে ব্লক অফিসে চাকরি দেওয়ার টোপ দিয়ে ৫০ হাজার নেয় ওই যুবক। কিন্তু দিনেপর পর দিন পেরিয়ে গেলেও চাকরি মেলেনি।
একই ভাবে বড়ঞা থানার কুলি গ্রামের বাসিন্দা সামিম আজিজ খানকে প্রাইমারি স্কুলে চাকরির টোপ দিয়ে ৩ লক্ষ ২০ হাজার টাকা হাতিয়েছে। আশিষ ঠাকুরের এক আত্মীয়কে প্রাইমারি স্কুলে চাকরির নাম করে ১ লক্ষ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। বড়ঞার সজল দাসকে ওই একই চাকরি দেওয়ার নাম ৭০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ।
পিঙ্কির খাতুনের দাবি , “সুপ্রভাত নিজেকে সরকারি কর্মচারি বলে জাহির করে আমার কাছে ওই টাকাও নিয়েছে। তারপরেও ফোন করে আমাকে বহুবার কুপ্রস্তাবও দিয়েছে।”
সামিম আজিন খান বলেন, “বাড়িতে সমস্ত প্রশ্নপত্র নিয়ে হাজির। সেই বিশ্বাসেই এতগুলি টাকা দিয়েছি।” আর সজল দাস বলেন, “আমার সঙ্গে সাত লক্ষ টাকার কথা হয়েছিল। চাকরি হওয়ার পরে টাকা। কিন্তু একদিন ফোন করে আমাকে দু’লক্ষ টাকা চেয়ে বসে।’’ পুরে বহরমপুরের একটি হোটেলের নাম করে বলে ওই হোটেলটা তাদের।
ধৃত ওই যুবক সুপ্রভাত মুখোপাধ্যা বড়ঞা থানার সাবলপুর গ্রামের বাসিন্দা। ওই যুবক এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত।
যদিও অভিযোগ মানতে চাননি সুপ্রভাত। সে বলে, “শুধু অভিযোগ করলেই তো হয় না। সেটা প্রমাণও করতে হয়।”
বড়ঞা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি গোলাম মুর্শিদ বলেন, “আমি দু’বছর ধরে এই ব্লকে তৃণমূলের সভাপতি আছি। সুপ্রভাত নামে কোনও তৃণমূল কর্মীকে চিনি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy