Advertisement
E-Paper

স্বামী কাশ্মীরে বিক্রি করে দিয়েছিলেন স্ত্রী, ছেলেকে, ২৪ বছর পর মাকে নিয়ে গাঁয়ে ফিরলেন ছেলে

প্রায় আড়াই দশক আগে স্ত্রী, ছেলেকে নিয়ে কাশ্মীরে বেড়াতে গিয়েছিলেন স্বামী ইয়াসিন। কিন্তু সেখানে গিয়ে স্ত্রীকে অজ্ঞান করে বিক্রি করে দেন বলে অভিযোগ। ২৪ বছর পর তাঁরা ফিরলেন গ্রামে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:০২
মা আকলেমাকে নিয়ে ছেলে রেজাউন।

মা আকলেমাকে নিয়ে ছেলে রেজাউন। — নিজস্ব চিত্র।

ভূস্বর্গে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে কাশ্মীরে স্ত্রী, পুত্রকে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ। প্রায় আড়াই দশক পর মাকে নিয়ে গ্রামে ফিরলেন ছেলে। আর ফিরেই বাবার বিরুদ্ধে ছেলে থানায় দায়ের করলেন অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের রানিনগরে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রানিনগর থানার ইলশেমারির বাসিন্দা আকলেমা বিবির অভিযোগ, তাঁকে ও তাঁর কোলের সন্তানকে টাকার জন্য বেচে দিয়েছিলেন স্বামী ইয়াসিন শেখ। সে দিনের ঘটনার কথা মনে করলে আজও চোখের জল চাপতে পারেন না আকলেমা। তাঁর দাবি, বিক্রির আগে তাঁকে কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে দেন স্বামী। তার পর কাশ্মীরের বাসিন্দা একজনের কাছে টাকার বিনিময়ে তাঁকে বিক্রি করে দেওয়া হয়। সেই সময় আকলেমার ছেলে রেজাউন কোলে।

অভিযোগ, যাঁর কাছে বিক্রি করা হয়েছিল সেই ব্যক্তিও আকলেমার উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করতেন। জোর করে বাড়ির সমস্ত কাজকর্ম করানো হত তাঁকে দিয়ে। বার বার অনুরোধ করার পরও কোনও ভাবেই মুর্শিদাবাদের বাড়িতে ফিরতে দেওয়া হত না তাঁকে। পালানোরও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন বার বার। এ ভাবেই একটা সময় হাল ছেড়ে দেন আকলেমা। রেজাউন বড় হন। মাকে নিয়ে তিনিও বাড়ি ফেরার চেষ্টা করতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত সফল হন। সবার চোখ এড়িয়ে সুদূর কাশ্মীর থেকে রানিনগরের বাড়িতে ফেরেন মাকে সঙ্গে নিয়ে।

রেজাউন বলেন, “বাবা আরও একটা বিয়ে করবে বলে মা আর আমাকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন। আমরা ওখানে চাষবাস করে খেতাম। অনেক চেষ্টা করে শেষ পর্যন্ত গাঁয়ে ফিরতে পেরেছি।’’

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত ইয়াসিনের খোঁজেই ইতিমধ্যেই তল্লাশি শুরু হয়েছে। খুব দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে আশাবাদী পুলিশ।

police Kashmir
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy