— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দোকানে চা খাচ্ছিলেন। এক পরিচিতের ফোন পেয়ে চায়ের দোকান থেকে বেরিয়ে আসেন। তারপর থেকে আর খোঁজ পাওয়া যায়নি যুবকের। শেষমেশ সারারাত নিখোঁজ থাকার পর সোমবার সকালে উদ্ধার হল যুবকের রক্তাক্ত দেহ।
সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার করিমপুরে। সকালে স্থানীয়েরাই প্রথম দেহটি দেখতে পান। তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেওয়া হলে তারা এসে দেহটি উদ্ধার করে করিমপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সূত্রের খবর, ঘটনাস্থল থেকে সেভেন এমএম পিস্তলের কার্তুজ পাওয়া গিয়েছে। দুই দুষ্কৃতী দলের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণেই খুন হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান পুলিশের। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে শুরু হয়েছে তদন্ত।
নিহত যুবকের নাম আজমত আলি মণ্ডল(৪৮)। তিনি নদিয়ার করিমপুরের রাউতবাটি এলাকার বাসিন্দা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজমত সীমান্ত এলাকায় পাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অভিযোগ, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে এ দেশে আসা সোনা পাচারের বখরা নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁর সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল বাংলাদেশের পাচারকারীদের। রবিবার রাতে প্রতিদিনের অভ্যাস মতো কাঁঠালিয়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে চা খাচ্ছিলেন আজমত। তখনই পরিচিত এক ব্যক্তির ফোন আসে। তার পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যায়নি তাঁর। সোমবার সকালে কাঁঠালিয়া বাজার থেকে কিছুটা দূরে কালীতলায় কৃষ্ণনগর-করিমপুর রাজ্য সড়কের পাশের একটি জঙ্গলে আজমতের দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। কারা, কেন খুন করল, তা খতিয়ে দেখতে শুরু হয়েছে তদন্ত। তেহট্ট মহকুমা পুলিশের আধিকারিক শুভতোষ সরকার বলেন ‘‘প্রাথমিক ভাবে দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy