জখম: পিঠে ছুরি নিয়ে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ঝুম্পা। রবিবার। নিজস্ব চিত্র
পিঠে ধারাল ছুরি বেঁধা, ক্ষতের চারপাশে রক্তের ছোপ! রোগিণীকে দেখে রবিবার বিকেলে চমকে উঠেছিলেন শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্মীরা। ঝুম্পা মণ্ডল নামে বছর কুড়ির ওই তরুণী চিকিৎসকদের জানান, তাঁর স্বামী প্রশান্ত মণ্ডল হামলা চালিয়ে পালিয়ে গিয়েছেন। এর পরই নবদ্বীপের মহেশগঞ্জের বাড়ি থেকে আহত ওই তরুণীকে মহেশগঞ্জ গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে।
পরিবার সূত্রের খবর, জনমজুর প্রশান্ত মণ্ডলের সঙ্গে ভালবাসা করে বিয়ে হয় ঝুম্পার। বিয়ের পর থেকেই বনিবনা হচ্ছিল না। ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত। বিয়ের এক বছরের মাথায় শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান ঝুম্পা মন্ডল ওরফে ঝুমা। গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাত পর্যন্ত বাড়ি না- ফেরায় পরিবারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখবর করা হয়। পর দিন ২১ সেপ্টেম্বর ঝুম্পার মা পম্পা দাস নবদ্বীপ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
এর পর শনিবার রাতে বাড়ি ফিরে আসেন ঝুম্পা। জানান, তিনি এই ক’দিন মামার বাড়িতে ছিলেন। রবিবার দুপুরে তাঁকে সঙ্গে করে মা পম্পা দাস নবদ্বীপ থানায় এসে মেয়ে ফিরে আসার কথা জানিয়ে যান। অভিযোগও তুলে নেন। এর পর তাঁরা যখন বাড়ি ফিরছেন তখনই প্রশান্ত হামলা চালান বলে অভিযোগ।
পরিবার সূত্রের খবর, স্ত্রী-র বাড়ি ছেড়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ ছিলেন প্রশান্ত। স্ত্রী যে ফিরে এসেছেন, সে খবর তিনি পেয়েছিলেন। রবিবার শ্বশুরবাড়ির আশপাশেই ঘোরাফেরা করছিলেন। পম্পা বলেন, “আমাদের দেখেই ও এগিয়ে আসে। মেয়ের পথ আটকে জিজ্ঞাসা করে, সে মোবাইল কোথায় রেখেছে। মেয়ে জানায়, সে জানে না। এর পরই মেয়ের চিৎকার শুনে ঘুরে দেখি জামাই ওর পিঠে একটা ছুরি ঢুকিয়ে দিয়েছে। গলগল করে রক্ত পড়ছে। আমি চিৎকার করতেই জামাই ছুটে পালায়।’’ নবদ্বীপ থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy