সেই গেস্ট হাউস। নিজস্ব চিত্র।
রাতের অন্ধকার স্টেশন জুড়ে। সেই প্রায় স্তব্ধ স্টেশনে পা রেখেছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। চারদিকে শীতকালীন নিস্তব্ধতা ভেঙে পৌঁছে গেলেন বেলডাঙা রেলের ভিআইপি গেস্ট হাউসে। রাত্রিবাস সেই বাড়িতেই করেন। আজও সেই বাড়িটি মাথা তুলে নেতাজির সাক্ষ্যবহন করছে। ১৯৩১ সালের ১৬ জানুয়ারি দিনে এই ঘটনা ঘিরে আজও প্রবীণ মানুষ স্মৃতি রোমন্থন করেন। তার স্মৃতি বিজরিত এই বাড়িটি বাইরের অনেক মানুষ দেখতে আসেন।
বেশির ভাগ মানুষ ২৩ জানুয়ারি আসেন এই লাল বাড়ির খোঁজে। প্রবীণদের মুখ থেকে জানা যায়, সুভাষচন্দ্র অন্তত তিন বার বেলডাঙা এসেছিলেন। বেলডাঙার বাসিন্দা দ্বিজপদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুভাষ চন্দ্র বসুর হৃদ্যতা ছিল। দ্বিজপদবাবু কলকাতায় চাকরি সূত্রে থাকতেন। সঙ্গে কংগ্রেসী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সূত্রে নেতাজি সুভাষের সম্পর্ক। তিনি বেলডাঙা স্টেশনে অতিথি শালায় রাত কাটিয়ে সকালে বেলডাঙা ছাপাখানা হয়ে মণ্ডপতলা (বর্তমানে হরিমতি স্কুলের কাছে)গিয়েছিলেন।
‘বেলডাঙার ইতিকথা’ নামক পুস্তকে শিক্ষক হরিনারায়ণ মণ্ডল লিখেছেন, স্টেশন সুভাষবাবু জিন্দাবাদ, বন্দেমাতরম ধ্বনিতে ভরে উঠেছিল। একটা ঘিয়ে রঙের গাড়িতে করে তাঁকে মণ্ডপতলা আনা হয়েছিল। রাস্তার দুই দিক কলাগাছ, দেবদারু পাতা, কামিনী গাছের পাতা দিয়ে সাজান হয়েছিল। উলুধ্বনি ও শঙ্খ ধ্বনি দেওয়া হয়। তার গলায় প্রচুর মালা পরানো হয়। তারপর বেলডাঙায় একটা সভা করেন। বেলডাঙার প্রবীণ বাসিন্দা সন্তোষ রঞ্জন দাস বলেন, “নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অনেক স্মৃতি বেলডাঙায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তার মধ্যে রেলের এই ভবন টি অন্যতম। আমি গত ৬৪ বছর ভবন টিকে একই ভাবে দেখছি। তবে শোনা যাচ্ছে রেল এই ভবন কে কনডেম দেখিয়েছে। আমরা বেলডাঙা বাসীর হয়ে রেলের কাছে এই ঐতিহ্যবাহী ভবন যাতে এই ভাবেই থাকে তার আবেদন জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy