নিয়ম ভেঙে কৃষিমন্ত্রীর প্রতিনিধি মনোনয়ন কার্যত নস্যাৎ করে দিল তাঁরই দফতর।
সম্প্রতি সরাসরি বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিয়ে হরিণঘাটার বিধায়ককে কর্মসমিতির সদস্য হিসেবে মনোনয়ন দেন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। এ ভাবে চিঠি পাঠানো বিধি নয় বলে বিশ্ববিদ্যালয় তাতে আমল দেয়নি। এ বার নতুন চিঠি পাঠিয়ে কৃষিসচিব জানিয়েছেন, কল্যাণীর বিধায়ককে সদস্য হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।
কর্মসমিতিতে সরকারি প্রতিনিধি মনোনয়নের নিয়ম হল, আচার্য অর্থাৎ রাজ্যপালের কাছে নাম পাঠিয়ে অনুমোদন নিতে হয়। কৃষি দফতরের সচিব চিঠি দিয়ে তা বিশ্ববিদ্যালয়কে জানান। মন্ত্রী নিজে কাউকে ইসি সদস্য মনোনীত করে তা সরাসরি জানাতে পারেন না। অথচ গত ৬ ফেব্রুয়ারি কৃষিমন্ত্রী উপাচার্য ধরণীধর পাত্রকে চিঠি দিয়ে জানান, তিনি হরিণঘাটার তৃণমূল বিধায়ক নীলিমা নাগ মল্লিককে ইসি সদস্য বলে মনোনীত করেছেন। তখন কল্যাণীর তৃণমূল বিধায়ক রমেন্দ্রনাথ বিশ্বাস ইসি সদস্য ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে কি না, মন্ত্রী চিঠিতে তা উল্লেখ করেননি।