Advertisement
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Murshidabad Education Department

১৭ ব্যাঙ্ককে চিঠি শিক্ষা বিভাগের

মুর্শিদাবাদ জেলায় ১৭টি স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৪,৮৪১ জন ছাত্রছাত্রীকে চার কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা বাড়তি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।

ট্যাব হাতে এক ছাত্রী।

ট্যাব হাতে এক ছাত্রী। প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিমান হাজরা
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৪ ০৮:৪৯
Share: Save:

ছাত্রছাত্রীদের ‘ট্যাব’ কেনার টাকা ভুল করে দু’বার দিয়ে ‘বিড়ম্বনায়’ মুর্শিদাবাদ জেলা শিক্ষা বিভাগ। অতিরিক্ত টাকা ফেরত পেতে এ বার জেলার অগ্রণী ব্যাঙ্কের শাখার পাশাপাশি ১৭টি ব্যাঙ্কের আঞ্চলিক অধিকর্তার কাছেও চিঠি লিখে সাহায্য চাইল তারা।

মুর্শিদাবাদ জেলায় ১৭টি স্কুলের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ৪,৮৪১ জন ছাত্রছাত্রীকে চার কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা বাড়তি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এর ফলে জেলায় বহু স্কুলের ছাত্রছাত্রী ট্যাবের ১০ হাজার করে টাকা এখনও হাতে পায়নি। জঙ্গিপুরের ৯টি হাই স্কুল ছাড়াও দু’বার করে ট্যাবের টাকা পাওয়া স্কুলগুলির মধ্যে রয়েছে আমতলা হাই স্কুল, আমতলা আনন্দমনি বালিকা বিদ্যালয়, ডাঙাপাড়া মোক্তারপুর হাই স্কুল, টুঙ্গি স্বামী স্বরূপানন্দ হাই স্কুল, বালি গান্ধী মেমোরিয়াল হাই স্কুল, বৃন্দাবনপুর এস স্মৃতি হাই স্কুল, দুর্লভপুর হাই স্কুল, সর্বাঙ্গপুর জেকেএসএ বিদ্যাপীঠ।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অমরকুমার শীল ব্যাঙ্কগুলিকে পাঠানো চিঠির সঙ্গে জেলার মোট ১৭টি হাই স্কুলের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর নাম, আইডি নম্বর, বাবার নাম এবং প্রত্যেকের বাড়ির ফোন নম্বর, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর-সহ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়েছেন। প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা ‘হোল্ড’ বা ‘ফ্রিজ়’ করতে বলা হয়েছে। “তরুণের স্বপন প্রকল্পে” অসাবধানতাবশত ওই ৪,৮৪১ জন ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে দু’বার করে টাকা পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে।

জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক ব্যাঙ্কগুলিকে চিঠিতে লিখেছেন, “এই সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে আমার বিনীত অনুরোধ, দ্বিতীয় বার অর্থ পাওয়া প্রতিটি ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা হোল্ড বা ফ্রিজ় করা হোক দ্রুততার সঙ্গে।’’ চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে সংশ্লিষ্ট ১৭টি হাই স্কুলকেও। এই ঘটনার জেরে শ্রীকান্তবাটী, বাড়ালা, শেখদিঘির মতো কিছু স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এখনও ট্যাবের টাকা পায়নি। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের প্রত্যেককে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হচ্ছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকেরা পড়ুয়াদের তালিকা তুলে দিয়েছেন জেলা শিক্ষা বিভাগে। সেখান থেকে অনুমোদিত সেই তালিকা গিয়েছে ট্রেজ়ারিতে। বহরমপুর ট্রে‌জ়ারি থেকে টাকার দেওয়ার নির্দেশ ব্যাঙ্কে পাঠানোর কথা। কার ভুল? প্রধান শিক্ষকদের একাংশের আশঙ্কা, এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হবে তাঁদেরও। তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির জঙ্গিপুর জেলা সভাপতি আশরফ আলি রেজভি বলেন, “ভুল কোনও একটা জায়গায় তো ঘটেছেই। তবে স্কুলগুলির কোনও ভুল নেই। ভুল হওয়ার সম্ভাবনা জেলা শিক্ষা বিভাগ বা ট্রেজ়ারিতে। এটা খতিয়ে দেখা উচিত যাতে ভবিষ্যতে এই ভুল
এড়ানো যায়।”

অন্য বিষয়গুলি:

Murshidabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy