Advertisement
E-Paper

বর্ষার ডেঙ্গি রুখতে অভিযান শীতেই

বুধবার বিকেলে বহরমপুরে জেলাশাসকের অফিসের সভাগৃহে জেলার সব পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক, ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের নোডাল অফিসার ও স্যানিটারি ইনস্পেকটরদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:০৫
মশা মারতে চলছে কামান দাগা। —ফাইল চিত্র

মশা মারতে চলছে কামান দাগা। —ফাইল চিত্র

ছবিটা খানিক বদলেছে।

সৌজন্য সচেতনতা এবং মশার আঁতুড়ঘরে হানা। সেই হানার সূত্র ধরে এ বার আরও একটু তৎপর হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলার স্বাস্থ্যদফতর।

বুধবার বিকেলে বহরমপুরে জেলাশাসকের অফিসের সভাগৃহে জেলার সব পুরসভার নির্বাহী আধিকারিক, ন্যাশনাল আরবান হেলথ মিশনের নোডাল অফিসার ও স্যানিটারি ইনস্পেকটরদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। ওই বৈঠক শেষে গ্রামীণ এলাকায় কাজের জন্য বিএমওএইচ, যুগ্ম বিডিওদের নিয়ে ভিডিও কনফরেন্সও করা হয়। দু’টি বৈঠকেই বলা হয়েছে, ২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে মশাবাহিত রোগ কমেছে। কিন্তু এতে আত্মতুষ্টিতে ভোগার কোনও কারণ নেই। এ ব্যাপারে একই মাঠে নেমে পড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তাই।

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর ২০১৭ সালে মুর্শিদাবাদে ১৯৯৪ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের। ২০১৮ সালে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ১১৬৮। তবে ২০১৮ সালে ডেঙ্গিতে কারও মৃত্যু হয়নি। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার ব্যাখ্যা, ‘‘২০১৭ সালে আমরা শুধুমাত্র মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ও কলকাতার সরকারি হাসপাতালের রিপোর্ট নিয়েছিলাম। কিন্তু ২০১৮ সালে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ ও কলকাতার সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের ২৮টি বেসরকারি সংস্থার রিপোর্টও গ্রহণ করা হয়েছে। দেখা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা কম, মৃত্যু হয়নি।’’

এত দিন শহর এলাকায় ডেঙ্গির প্রভাব বেশি দেখা যেত। কিন্তু গত বছরের স্বাস্থ্যদফতরের দেওয়া তথ্য বলছে, মুর্শিদাবাদের শহর এলাকায় ডেঙ্গির প্রভাব খুবই কম। ২০১৮ সালে কান্দি, বেলডাঙা ও মুর্শিদাবাদ পুরসভা এলাকায় একজন করে বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। জিয়াগঞ্জ আজিমগঞ্জ ও ডোমকল পুর এলাকায় দু’জন করে, জঙ্গিপুর ৬ জন, ধুলিয়ান পুরসভায় ৭ জন এবং বহরমপুর পুরসভায় ২৩ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। সেই তুলনায় ব্লকগুলিতে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, পরিষ্কার জলে এডিস মশা বসবাস করে। এই মশা ডেঙ্গির বাহক। এখন এডিস মশা অভিযোজন ঘটিয়ে নোংরা জলেও বসবাস করছে। ফলে গ্রামীণ এলাকাতেও ডেঙ্গির প্রভাব দেখা দিচ্ছে।

জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, জুন মাস থেকে মশাবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। মাঠে নামা হয়েছে তাই এখন থেকেই। এ বছরও গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘোরার জন্য ভিলেজ রিসোর্স পার্সনদের নিয়ে দল তৈরী করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু চারটি দল তৈরি করা হয়েছে। বেশ কিছু ব্লকে ইতিমধ্যে তাঁরা গ্রামীণ এলাকায় কাজ শুরু করেছেন। রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতর ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে।

Murshidabad Dengue
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy