ম্যানহোলের ছোট ফুটোয় আটকে বিশাল এক অজগর। অজগরের দেহের বেশির ভাগটাই বাইরে থাকলেও পেটের মোটা অংশটি ফুটোর মধ্যে আটকে যায়। অজগরটিকে উদ্ধার করতে আসেন সাপ উদ্ধারকারী এক তরুণী। অজগরের বিপাকে পড়ার খবর পেয়ে তিনি ছুটে আসেন। অতিকায় সরীসৃপটিকে উদ্ধারের একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, বাদামি রঙের ছোপওয়ালা একটি অজগর নর্দমার কংক্রিটের ঢাকনার উপর নড়েচ়ড়ে বেড়াচ্ছে। সাপটি একটি ম্যানহোলে আটকা পড়েছে। শরীরের অর্ধেক বাইরে এবং বাকি অর্ধেক নর্দমার ভিতরে। সাপটিকে উদ্ধার করতে আসেন অজিতা পাণ্ডে নামের তরুণী। তিনি ছত্তীসগঢ়ের ‘স্নেকগার্ল’। সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে ঘটনাটি ছত্তীসগঢ়ের বিলাসপুরের।
সাপ উদ্ধারে পটু অজিতা অদ্ভুত কায়দায় অজগরের মুখটি একটি কাপড় দিয়ে চেপে ধরেন। এর পর আর এক ব্যক্তি সাপের শরীর আলতো করে চেপে ধরেন। শরীরটি চেপে সাপটিকে নর্দমার ভিতরে ঢোকানোর চেষ্টা করেন দু’জনে। অজিতা তার পর সাপের মুখ ছেড়ে দেন। তাঁদের পরিকল্পনাটি সফল হয়। সাপটি নর্দমার ভিতরে ঢুকে যায়। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। অজিতা তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ‘ইনভিনসিবল_অজিতা’ থেকে ভিডিয়োটি আপলোড করেছেন। তাঁর এই পেজটিতে অজিতাকে এক জন সাপ উদ্ধারকারী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সাপ উদ্ধারে অজিতার একটি বিশ্বরেকর্ড রয়েছে বলে পেজে দাবি করা হয়েছে।
ভিডিয়োটি দেখে বহু নেটাগরিকই অজিতার ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। কয়েক হাজার বার ভিডিয়োটি দেখা হয়েছে সমাজমাধ্যমে। ভিডিয়োটি দেখে অজিতার সাহসিকতা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে নেটমাধ্যমে। অজগরের মতো বড় আকারের সাপকে উদ্ধার করার পর তাঁকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনেকে। সাপ দেখা গেলে তাকে স্পর্শ করা বা উস্কানি দেওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন অজিতা। এক জন প্রশিক্ষিত সাপ উদ্ধারকারীকে ডাকার কথা জানিয়েছেন তিনি।