হুমায়ুন কবীর। — ফাইল চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট পর্বের শুরু থেকেই তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেছিলেন, দলের বিরোধিতা করলে তিনি যেই হোন না কেন, দল তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। ভোট মেটার পরে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভায় পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় বলেন, ‘‘রেজিনগরে এক জন আছেন। মাঝেমাঝে হুঙ্কার দেন। আমি পছন্দ করি না। আমরা সমর্থন করি না।’’ তৃণমূল সূত্রে খবর, দলনেত্রীর ইঙ্গিত হুমায়ুন কবীরের দিকেই। হুমায়ুন ভরতপুরের বিধায়ক হলেও বাড়ি রেজিনগরে। তৃণমূলের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদের সাংগঠনিক সভাপতি শাওনি সিংহ রায় আরও পরিষ্কার করে বৃহস্পতিবার বলে দেন, ‘‘দু’দিন আগেই ভরতপুরের বিধায়ককে দলের রাজ্য নেতৃত্ব শো-কজ় করেছেন। তাঁকে মেল করে শো-কজ়ের চিঠি পাঠিয়েছেন। তার একটি কপি আমাকেও দেওয়া হয়েছে। বাকি বিষয় রাজ্য নেতৃত্ব বলবে।’’ তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হুমায়ুন দাবি করেছেন, ‘‘আমার কাছ থেকে এ বিষয়ে দলের কেউ কিছু জানতে চাননি। আমার হোয়াটসঅ্যাপ বা মেলে শো-কজ়ের কোনও চিঠিও আসেনি।’’
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে হুমায়ুনের নেতৃত্বে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলের চার বিধায়ক। হুমায়ুনের সঙ্গে রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী, জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক ও নওদার সাহিনা মমতাজ খান তখন শাওনি সিংহরায়ের বেলডাঙা ও বহরমপুরে একাধিক বার সাংবাদিক বৈঠক করে তোপ দেগেছেন। রাজ্য নেতৃত্ব উভয়পক্ষকে নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেও সমস্যা মেটাতে পারেনি। যার জেরে দলের ঘোষিত প্রার্থীদের বিরুদ্ধে দলেরই অনেকেই নির্দল হিসেবে লড়াই করেছেন। তবে রবিউল আলম চৌধুরী এবং সাহিনা মমতাজ খানকে আবার জেলা তৃণমূল সভাপতি শাওনি সিংহরায়ের সঙ্গে দলের অনুষ্ঠানে এক মঞ্চে বসতেও পরে দেখা গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্ব থেকে এখনও পর্যন্ত হুমায়ুন কিন্তু নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। বৃহস্পতিবার হুমায়ুন বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে যা হয়েছে বা হচ্ছে তা সব মাধ্যমকে জানানো যায় না। তাই দল জানতে চাইলে জানাব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy