Advertisement
E-Paper

‘মনে হল, মেরে ফেললাম’, মাকে কুপিয়ে খুন করে ভাবলেশহীন ছেলে! মুর্শিদাবাদে চাঞ্চল্যকর ঘটনা

পুলিশ সূত্রে খবর, মাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে রঘুনাথ গোস্বামী নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম মিনতি গোস্বামী। বাড়িতে মিনতি আর তাঁর ছেলে থাকতেন। মায়ের মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞাসা করায় ছেলে জানান, তিনিই মেরেছেন।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৪৩
Murder In Murshidabad

—প্রতীকী চিত্র।

ঘর থেকে উদ্ধার বৃদ্ধার রক্তাক্ত দেহ। শোরগোল গোটা গ্রামে। অন্য দিকে, মাকে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত ছেলের দাবি, তাঁর মনে হয়েছিল, তাই মেরে ফেলেছেন! ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের ভরতপুর থানার খয়রা গ্রাম। অভিযুক্তকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে মাকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে রঘুনাথ গোস্বামী নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। মৃতার নাম মিনতি গোস্বামী। বাড়িতে মিনতি আর তাঁর ছেলে থাকতেন। মায়ের মৃত্যুর কারণ জিজ্ঞাসা করায় ছেলে জানান, তিনিই মেরেছেন। কিন্তু কেন? জানা যায়নি। ওই ঘটনা নিয়ে শোরগোল এলাকায়। মিনতির দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে খবর, রঘুনাথের বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে বাড়ি নয়ন গোস্বামীর। নয়ন এবং রঘুনাথের কাকা-ভাইপো সম্পর্ক। রবিবার রাতে হঠাৎ কাকার বাড়ির ছাদ দিয়ে তাঁদের ঘরে ঢোকেন রঘুনাথ। তাঁর গায়ে রক্তের ছিঁটে। কী হয়েছে জিজ্ঞাসা করায় যুবক জবাব দেন, তাঁকে কেউ মারতে আসছেন। কেন মারবে? প্রশ্ন করায় রঘুনাথের জবাব, ‘‘মাকে মেরে ফেলেছি।” কেন ওই কাজ করলেন? কাকার প্রশ্নে ভাইপোর জবাব, ‘‘মনে হল, মেরে দিলাম।” তাঁর কথাবার্তা, ভাবলেশহীন চেহারা দেখে ভয় পেয়ে যান নয়ন এবং তাঁর স্ত্রী। তাঁরা লোকজন ডাকতে যাবেন ভাবছেন, ঠিক তখনই দরজা খুলে দৌড়ে পালিয়ে যান রঘুনাথ।

রাতে প্রতিবেশীদের নিয়ে দাদার বাড়িতে গিয়ে ভয়ঙ্কর দৃশ্য দেখেন নয়ন। দেখেন, রক্তে ভাসছে মেঝে। নিথর অবস্থায় পড়ে বৌদির দেহ। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে।

প্রতিবেশীদের দাবি, রঘুনাথ মানসিক ভাবে সুস্থ নন। তাঁর চিকিৎসা করানো হচ্ছিল বলেও শুনেছেন। তবে মাকে হঠাৎ কেন খুন করলেন তিনি, তা নিয়ে কেউ কিছু বলতে পারছেন না। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Son Killed Mother Murshidabad Crime
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy