বালি পাচার মামলার তদন্তে রাজ্যের নানা জায়গায় হানা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। সোমবার সকাল থেকে কলকাতার পার্ক স্ট্রিট, নিউ আলিপুর, আমহার্স্ট স্ট্রিট এলাকায় তল্লাশি হয়েছে। সূত্রের খবর, ইডির বিভিন্ন দল গিয়েছে ঝাড়গ্রাম-সহ আট জেলায় নানা ব্যবসায়ীর বাড়িতে। তবে এখনও গ্রেফতারির কোনও খবর মেলেনি।
গত নভেম্বরে বালি পাচার মামলায় গ্রেফতার হন জনৈক অরুণ সরাফ। ইডি সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ৭৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আগেই অরুণের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশিও চালানো হয়েছিল। নভেম্বরের প্রথস সপ্তাহে তাঁকে প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। শেষমেশ হাওড়ার বালি এলাকা থেকে গ্রেফতার হন তিনি। তার পরেই বালি পাচার মামলায় ইডির হানা শুরু হল নানা জায়গায়।
সোমবার সকালে বালি পাচার কাণ্ডে ঝাড়গ্রামের গোপীবল্লভপুরের আঠাঙ্গি গ্রামে অভিযান চালায় ইডি। অবৈধ বালি ব্যবসায় আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ওই অভিযান বলে সূত্রের খবর। ঝাড়গ্রামের এক বাসিন্দা দীর্ঘ দিন ধরে বালি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। সকালে তাঁর বাড়িতেই পৌঁছোয় ইডির দল। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা বাড়ি ঘেরাও করেন। বাড়ির ভিতরে ঢোকেন ইডি আধিকারিকেরা। সেখান থেকে কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি।
আরও পড়ুন:
এর আগে প্রায় ২২টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছিল। সেই সময় প্রচুর নথি, ডিজিটাল প্রমাণ সংগ্রহ করেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। বালি পাচারের প্রমাণ হিসাবে মেলে ভুয়ো চালানও।