Advertisement
E-Paper

আজও অবহেলিত সংগ্রহশালা

‘মুর্শিদাবাদ জেলা সংগ্রহশালা’র অবস্থান জিয়াগঞ্জের মতো ছোট্ট একটা থানা শহরে। এই শহরের ভূমিপুত্র ও বরিষ্ঠ নাগরিক হিসাবে তার জন্য গর্বিত। কিন্তু একই সঙ্গে কষ্টও কম নেই আমাদের। সরকারি ঔদাসীন্যের সুবাদে এই ঐতিহাসিক সংগ্রহশালাটি বিমাতার সন্তানের মতো অনাদর আর অবহেলায় পড়ে থাকার কষ্ট।

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৫ ০১:০১
জিয়াগঞ্জে সেই সংগ্রহশালা। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

জিয়াগঞ্জে সেই সংগ্রহশালা। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

হোক প্রচার

‘মুর্শিদাবাদ জেলা সংগ্রহশালা’র অবস্থান জিয়াগঞ্জের মতো ছোট্ট একটা থানা শহরে। এই শহরের ভূমিপুত্র ও বরিষ্ঠ নাগরিক হিসাবে তার জন্য গর্বিত। কিন্তু একই সঙ্গে কষ্টও কম নেই আমাদের। সরকারি ঔদাসীন্যের সুবাদে এই ঐতিহাসিক সংগ্রহশালাটি বিমাতার সন্তানের মতো অনাদর আর অবহেলায় পড়ে থাকার কষ্ট। জেলাসদর বহরমপুরে, বা মহকুমাসদর লালবাগে অবস্থান হলে কি এই সংগ্রহশালা এ রকম অনাদরে পড়ে থাকত? সংগ্রহশালাটি পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে ‘শুধু সরকারি বরাদ্দের প্রতীক্ষা’ করে কী কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছনো যাবে? লক্ষ লক্ষ টাকা আসছে ও আসবে, দোতলা-তিনতলাও না হয় হল, পরিকাঠামোর উন্নতিও হল, ধরে নিলাম। কিন্তু পর্যটক কোথায়? প্রত্ননিদর্শনের তালিকা তৈরি রয়েছে। সংগ্রহশালার বর্ণময় প্রচার ফোল্ডারও পাওয়া যায়। একাধিক কর্মীও আছেন। বরিষ্ঠ পুরনাগরিক ও পর্যটক হিসাবে অনেকবার ওই সংগ্রহশালায় গিয়েছি। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, হাতে গোনা কয়েকজন পর্যটক এখানে আসেন। ফলে কর্মীরা প্রায়শই মাছি তাড়ান। মুর্শিদাবাদের হাজারদুয়ারি, কাটরা মসজিদ, খোসবাগ, কাঠগোলার বাগান দেখার পরে পর্যটকদের টাঙা ও গাড়ির মুখ লালবাগ ও বহরমপুরমুখী হয়ে যায়। অমূল্য সংগ্রহশালা বিষয়ে সরকারি, বা বেসরকারি উদ্যোগে কোনও প্রচার দেখা যায় না। শুধু সংগ্রহশালা নয়, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ শহরে রয়েছে বহু জৈন মন্দির, বৈষ্ণবতীর্থ গাম্ভীলা শ্রীপাট, চার্চ, শিখ গুরুদ্বার, পীরের মাজার, বড়নগরে রানি ভবানী প্রতিষ্ঠিত মন্দির। এ সবই ঐতিহাসিক নিদর্শন। এই শহরে পর্যটক টানার জন্য উপযুক্ত পরিবহণ ব্যবস্থা গড়ে উঠুক। হোক প্রচার।

সমীর ঘোষ, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

গ্যাসে দুর্ভোগ

আমার শহর জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ শীর্ষক প্রতিবেদন পড়লাম। তাতে এই শহরের ‘মুর্শিদাবাদ জেলা সংগ্রহশালা’ ও ‘শ্বেতাম্বর জৈন সম্প্রদায় পরিচালিত গোশালা’ বিষয়ে প্রকাশিত দু’টি প্রতিবেদন থেকে অনেক অজানা বিষয়ে আমরা অনেকেই অনেক কিছু জানতে পারলাম। তবে সেই সঙ্গে বলি, এই শহরের মানুষ রান্নার গ্যাস সরবরাহ সমস্যা নিয়ে জেরবার। ‘চাল আর চুলো’ নিয়ে বাঙালির সংসার। কিন্তু জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের গৃহস্থের ভাঁড়ারে চাল থাকলেও তা সেদ্ধ করার মতো চুলোর বড়ই অভাব। এখন তো আর আগের মতো কাঠের জ্বালানির চুলো, অর্থাৎ উনুন নেই। তার বদলে হেঁশেলের দখল নিয়েছে গ্যাসে চলা ‘ওভেন’। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা ও লাগোয়া দুটো গ্রাম পঞ্চায়েত— মুকুন্দবাগ ও বাহাদুরপুর এলাকার গৃহস্থের বাড়িতে রান্নার সেই গ্যাস সরবরাহ করে ‘জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ গ্যাস এজেন্সি’ নামের একটি সংস্থা। শহরের নেহালিয়া এলাকায় ওই সংস্থার কার্যালয়ের সামনে সরকারি নিয়ম কানুন যথারীতি লটকানো রয়েছে। কিন্তু তার সঙ্গে বাস্তবের যে বিস্তর ফারাক তা শহরের ভুক্তভোগী মানুষ বিলক্ষণ জানেন। গ্যাস বুক করার পরে বাড়িতে গ্যাস পৌঁছতে অন্তত ৫০ দিন লাগেই। তবে অন্য পন্থা নিলে তার আগেই বাড়িতে গ্যাস পৌঁছয়। ওই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ডিলার, তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও মহাকুমাশাসকে লিখিত ও মৌখিক ভাবে বহু ক্রেতা বহু বার অভিযোগ জানিয়েও কোনও সুরাহা পাননি। সরকারি নিয়ম অনুসারে মোবাইল ফোনে গ্যাস বুকিং করলে মেসেজ আসার কথা। কিন্তু মেসেজ আসে না। কী করলে, কোথায় গেলে সুরাহা মিলবে?

অরুণ সাহা, সম্পাদক, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমিতি, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

বেহাল নালা

প্রাচীন শহর। বয়সেও বেশ প্রাচীন জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিকাশি প্রাচীন থেকে প্রাচীনতর সমস্যা। সামান্য বৃষ্টিতেই জলে থই থই শহর। জিয়াগঞ্জ স্টেশন থেকে রাধামোহন বাজার, ভেল্লাডাঙা থেকে শ্রীপৎ সিং কলেজ ও সরকারি হাসপাতাল যাওায়ার রাস্তা, হাতিবাগান, চুনারিপাড়া, সৌদুগঞ্জ, হাতিবাগান এলাকা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বছর দশেক আগে শহরের প্রধান নিকাশি নালার মুখ দিঘার বিলের থেকে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উত্তর দিকে এনাতুলিবাগ হয়ে তকিয়ার দিকে। তখন প্রচার করা হয়েছিল, তকিয়ার কাছে নিকাশি নালার জল শোধন প্রকল্প করা হবে। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হয়নি। শহরের নিকাশি ব্যবস্থারও সুরাহা হয়নি। আর কবে হবে?

সাগির শেখ, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার ৬ নম্বর গণকপাড়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

Museum Jiaganj Sagir Shek Arun Saha murshidabad
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy