জাতের অনুশাসন মুছে দেয় মৃত্যু। ধর্মের চোখ রাঙানি চুপ করে এসে বসে পায়ের কাছে। কবিতায় যা সম্ভব কখনও তা বাস্তবের উঠোনেও পা রাখে বুঝি! না হলে অরাঙ্গাবাদের প্রান্তিক পাড়ায় ভিন্্ ধর্মের মানুষের কাঁধেই সব আচার মেনে দাহ হয় গণেশ রবিদাসের দেহ? দেশ জুড়ে ধর্মীয় হানাহানির আবহে তাই স্বতন্ত্র পরিচয় পেয়ে যায় অরাঙ্গাবাদের মোমিনপাড়া।
হঠাৎই বুকে ব্যথা। তার পরেই মৃত্যু। গণেশ রবিদাসের (৪২) মৃত্যুর খবর পেয়ে তাঁর মুসলিম পড়শিরাই সোমবার ভেঙে পড়লেন মোমিনপাড়ার বাড়িতে। তাঁদের কাঁধেই গণেশের শেষযাত্রা।
সোমবার অরঙ্গাবাদের এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে এলাকার মানুষকে। আশপাশে যখন ধর্ম নিয়ে লড়াই চলছে, তখন মোমিনপাড়া হয়ে উঠেছে ভ্রাতৃত্ব ও সম্প্রীতির সর্বশেষ উজ্জ্বল নজির, যা ইদানিংকালে এ রাজ্যেও বিরলতম ঘটনা।