প্রতীকী ছবি
সপ্তাহদুয়েক আগে নবদ্বীপের দাসপাড়ার একটি বাড়িতে হঠাৎই আগুন লাগে। দমকলের ঘণ্টাদুয়েক চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তদন্তে আগুন লাগার প্রাথমিক কারণ হিসাবে দমকল চিহ্নিত করে বাড়িতে মজুত রাখা পেট্রল। জানা যায়, ওই বাড়িতে অনুমোদন ছাড়াই পেট্রল কেনাবেচা হত। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে খুঁজলে এমন অনেক বাড়ির হদিস মিলবে। এ ভাবেই সচল রয়েছে শহর নবদ্বীপের মোটরবাইক, স্কুটি থেকে চার চাকা গাড়ি। নবদ্বীপ পুর-এলাকার মধ্যে নেই কোনও পেট্রল পাম্প। প্রায় দেড় দশকের বেশি সময় হল নবদ্বীপ শহরের একমাত্র পেট্রল পাম্পটি বন্ধ। প্রতি দিন কয়েক হাজার বাইক এবং গাড়ি চলাচল করে শহরে। রয়েছে জেলার অন্যতম ব্যস্ত বাসস্ট্যান্ড। অথচ, নেই কোনও পেট্রল পাম্প।
নবদ্বীপের সবচেয়ে নিকটবর্তী পাম্পটি বর্ধমানের হেমায়েতপুরে। অন্যটি জেলারই ভালুকায়। ফলে, তেল ফুরোলে সমস্যায় পড়তে হয় মোটরবাইক ও গাড়ি চালকদের।
এই সুযোগে নবদ্বীপের বিভিন্ন পাড়ায় রমরমিয়ে চলছে পেট্রল-ডিজেলের খুচরো কেনাবেচা। গৃহস্থ বাড়ির ভিতরে একটু আড়ালেই চলে ব্যবসা। লিটার পিছু পাঁচ থেকে দশ টাকা বেশি দিতে হয়। এমনই এক পেট্রল বিক্রেতার কথায়, “মাপে কোনও কারচুপি পাবেন না। কিন্তু লিটার প্রতি দশ টাকা বেশি লাগবে।”
তার পরেও স্থানীয় এক বাইক চালক বলছেন, ‘‘হেমায়েতপুর, ভালুকা যাওয়ার চেয়ে হাতের কাছে যা পাচ্ছি, তাই সই!’’
নবদ্বীপ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক নিরঞ্জন দাস বলেন, “এখানে একটা পাম্প হওয়া খুবই জরুরি। কিন্ত তার জন্য অনেকগুলো শর্ত পূরণ করতে হবে।” ততদিন পর্যন্ত ভরসা বেআইনি ভাবে কেনা খুচরো পেট্রলই!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy