Advertisement
১৯ মে ২০২৪
নাকাশিপাড়া

প্রতিবেশীকে ভরসা করে ধর্ষিতা মহিলা

গণধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম উয়াদ আলি শেখ। তার বাড়ি নাকাশিপাড়া এলাকায়। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও এক যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রবিবার ধৃত উয়াদকে কৃষ্ণনগরে জেলা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৫৩
Share: Save:

গণধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশী এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম উয়াদ আলি শেখ। তার বাড়ি নাকাশিপাড়া এলাকায়। শুক্রবার রাতের ওই ঘটনায় অভিযুক্ত আরও এক যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। রবিবার ধৃত উয়াদকে কৃষ্ণনগরে জেলা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, ওই মহিলা বিপদে পড়ে উয়াদের সাহায্য চেয়েছিলেন। তারই সুযোগ নিয়ে উয়াদ ও তার এক সঙ্গী ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। জেরায় উয়াদ নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করলেও যাবতীয় দায় চাপিয়েছে আর এক অভিযুক্তের উপরে। আটক করা হয়েছে উয়াদের মোটরবাইক।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ওই মহিলার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তাঁর মেয়ে ও আড়াই বছরের নাতনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেয়েকে বাবার বাড়িতে রেখে মেয়ে চলে যান শ্বশুরবাড়ি। রাতে মেয়ে কান্নাকাটি শুরু করে। কোনও ভাবেই তাকে থামাতে পারছিলেন না নির্যাতিত ওই মহিলা। নিরুপায় হয়ে রাত দশটা নাগাদ তিনি মেয়েকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি থেকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন। নিজেদের মোটরবাইক না থাকায় উয়াদের সাহায্য চান।

নির্যাতিত ওই মহিলা পুলিশকে জানিয়েছেন, মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে সমস্যা থাকার কারণে মেয়ে তাঁর সঙ্গে আসতে পারেননি। এ দিকে নাতনিও বাড়িতে আছে। ফলে তিনি মেয়ের বাড়িতে আর দেরি না করে তড়িঘড়ি উয়াদের বাইকে চেপে বাড়ি ফিরছিলেন। ফেরার পথে নাকাশিপাড়ার আরও এক যুবকের সঙ্গে দেখা হতেই বাইক থামায় উয়াদ।

অভিযোগ, ওই দু’জনে মহিলাকে রাস্তা থেকে কিছুটা দূরে বাঁশবাগানে টেনে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। তারপর মারধর করে তাঁর সোনার গয়না কেড়ে নিয়ে পালিয়ে যায় ওই দু’জন। ওই মহিলার দাবি, এরপরে তিনি সেখান থেকে কোনও রকমে ফের মেয়ের বাড়ি ফিরে যান। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে কৃষ্ণনগর সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শনিবার ওই মহিলা নাকাশিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

এমন ঘটনায় রীতিমতো স্তম্ভিত এলাকার লোকজন। বিপদে পড়লে সব থেকে আগে এগিয়ে আসেন পড়শিরাই। সেই পড়শিই যে এমন কাণ্ড ঘটাতে পারে তা ভাবতে পারছেন না কেউই। নির্যাতিত ওই মহিলার এক আত্মীয় বলেন, ‘‘উয়াদ খুব সুবিধের লোক নয়। তার সম্পর্কে নানা কথা শোনা যায়। কিন্তু খুব বিপদে পড়েই ওর সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। তার সুযোগ নিয়ে ও যে এতবড় সর্বনাশ করবে তা আমরা কল্পনাও করতে পারিনি।’’ তিনি জানান, ওই মহিলার ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে তাঁরা খোঁজখবর শুরু করেন। পরে ওই মহিলার মেয়ের বাড়ি থেকে গোটা ঘটনা জানা যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rape Neighbour
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE