E-Paper

‘অখিল কী পাশ করেছে জানি না’, দাবি দোকানির

হুগলির চণ্ডীতলার বেলতলা এলাকায় অখিলদের বাড়ি থেকে কিছু দূরে মশাট-জগৎবল্লভপুর সড়কের ধারে তাঁর বাবা শেখ নুর আলির মুদিখানার দোকান।

দীপঙ্কর দে

শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২৪ ০৮:৪৪
কল্যাণীতে জেএনএম হাসপাতাল লাগোয়া একটি ওষুধের দোকানের লিফলেটে অখিলের পরিচয় ‘এমডি (মেড)’।

কল্যাণীতে জেএনএম হাসপাতাল লাগোয়া একটি ওষুধের দোকানের লিফলেটে অখিলের পরিচয় ‘এমডি (মেড)’। নিজস্ব চিত্র।

প্রতারণায় অভিযুক্ত মেডিক্যাল ছাত্র শেখ মহম্মদ অখিল বেশ কয়েক বছর ধরেই চণ্ডীতলার গ্রামে ডাক্তারি করতেন। তাঁর কয়েকটি চেম্বারও রয়েছে। তার মধ্যে একটি আবার তৈরি করে দিয়েছেন অখিলের বাবা। ‘এমডি’ না হওয়া সত্ত্বেও সাইনবোর্ডে এবং লিফলেটে ‘এমডি’ লিখে রোগী দেখায় অভিযুক্ত কল্যাণী জেএনএমের ছাত্র অখিলের বাড়িতে গিয়ে শুক্রবার জানা গেল এমনই তথ্য।

হুগলির চণ্ডীতলার বেলতলা এলাকায় অখিলদের বাড়ি থেকে কিছু দূরে মশাট-জগৎবল্লভপুর সড়কের ধারে তাঁর বাবা শেখ নুর আলির মুদিখানার দোকান। এলাকাবাসী জানান, ছ’সাত মাস আগে সেই দোকানের মাঝ বরাবর ভাগ করে তিনি অখিলের রোগী দেখার জন্য চেম্বার করে দেন। সেখানে চণ্ডীতলা, জাঙ্গিপাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে রোগীরা দেখাতে আসতেন।

এ ছাড়া গোপালপুর বাজারে একটি ওষুধের দোকানেও বসতেন অখিল। এ দিন সেখানকার বোর্ডে অখিলের নামের পাশে জেনারেল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাঁর পরিচয় উল্লেখ থাকতে দেখা গিয়েছে। তবে ওই দোকানের মালিক দাবি করেন, ‘‘এখন আর অখিল বসে না। ও কী পাশ করেছে, তা-ও জানি না। এলাকার ছেলে হিসেবে ওকে এখানে বসতে দিতাম।”

অখিল নদিয়ার কলেজ অব মেডিসিন অ্যান্ড জেএনএম হসপিটালে পিজিটি প্রথম বর্ষের ছাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে সেখানে নানা রকম বেনিয়ম, অন্যায় প্রভাব খাটানো, এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের একাংশের বিরুদ্ধেও তাঁকে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওই মেডিক্যাল কলেজেরই আইনি পরামর্শদাতা তথা আইনজীবী অনিরুদ্ধ ঘোষ গত ৭ জুন চণ্ডীতলা থানায় অখিলের বিরুদ্ধে ভুয়ো ‘এমডি’ পরিচয় দিয়ে রোগী দেখার অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ দিন বাড়িতে গিয়ে অখিলের দেখা মেলেনি। তবে তাঁর বাবা শেখ নুর আলি অবশ্য দাবি করেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিনা পয়সায় ও এলাকার রোগী দেখত।’’ অবশ্য ‘রাজনৈতিক কারণ’ বলতে তিনি কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। চণ্ডীতলা থানা জানিয়েছে, অখিলকে ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৪ নম্বর ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছে, গত ১৮ জুন তিনি তা হাতে পেয়েছেন। এখনও পর্যন্ত তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

JNM Hospital

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy