দলেরই সদস্যেরা আনা অনাস্থার জেরে অপসারিত হলেন ডোমকলের জুড়ানপুরের পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের কুদ্দুস মণ্ডল।
দিনকয়েক আগে ওই পঞ্চায়েতের শাসকদলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য কুদ্দুসের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে। বুধবার ওই অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি ছিল। এ দিন কুদ্দুসের পরিবর্তে তৃণমূলের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যেরা সমির শেখকে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করেন। ডোমকলের বিডিও সোয়াং গ্যাটসো ভুটিয়া বলেন, ‘‘ওই পঞ্চায়েতের বেশিরভাগ সদস্য কুদ্দুসের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ফলে তিনি অপসারিত হয়েছেন।’’
বছর তিনেক আগের ভোটে ওই পঞ্চায়েত তৃণমূলের কোনও অস্তিত্ব ছিল না। ১৩ সদস্যের ওই পঞ্চায়েতে কংগ্রেস ন’টি ও বামেরা চারটি আসনে জেতে। কংগ্রেস-সদস্য কুদ্দুস প্রধান হন। পরে তিনি কয়েকজন সদস্যকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এরপরই শুরু হয় দলত্যাগী তৃণমূল সদস্যদের অর্ন্তদ্বন্দ্ব। এ দিকে তৃণমূলের স্থানীয় নেতাদের সঙ্গেও কুদ্দুসের বনিবনা হচ্ছিল না। দলের ব্লক স্তরের নেতাদের একাংশ পঞ্চায়েতে কুদ্দুস-বিরোধী সদস্যদের মদত দিতে শুরু করে। ব্লক তৃণমূলের এক নেতা জানাচ্ছেন, দলেরই একাংশের প্রচ্ছন্ন সমর্থনে ওই পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সিংহভাগ সদস্য ওই প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনে।
এ দিকে প্রধান পদ খুঁইয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি কুদ্দুস। তবে তাঁর নিন্দুকেরা বলছেন, ‘‘ওনার পদও গেল। আবার দলে গুরুত্বও কমল।’’
বস্তুত জুড়ানপুর কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ডোমকল মহকুমা বেশ কয়েকটি পঞ্চায়েতে শাসকদলের সদস্যেরা দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। মহকুমা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত অনেকেই জানাচ্ছেন, বাম-কংগ্রেস থেকে দলত্যাগীদের সাহায্যে শাসকদল পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করেছে। অচিরেই সেখানে দলত্যাগী অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে প্রধানের ক্ষমতার প্রশ্নে দ্বন্দ্ব শুরু হচ্ছে। যার নিট ফল অনাস্থা। সাধারণ মানুষের দাবি, এ রকম অস্থিরতার কারণে আদতে পঞ্চায়েতের উন্নয়ন মার খাচ্ছে।