ডিজে বক্স বাজিয়ে চূর্ণীর ঘাটের দিকে মানুষের ঢল আর শব্দবাজির উৎপাত প্রতি ছটের চেনা চিত্র। এ বার সে সব যে করেই বন্ধ করার চেষ্টায় নেমেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কুর্পাস বাজারে পুলিশকর্মীদের মাইক নিয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে, শুক্রবার ছট পুজোয় কোনও রকম বাজি ফাটানো যাবে না। সরকারি নিয়ম মেনে পুজো করতে হবে। কোনও রকম জমায়েত করা চলবে না। মুখে মাস্ক পরে পুজো করতে এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ছটের জন্য রানাঘাট ছোট বাজারে চূর্ণী নদীর ঘাট এবং কুপার্সের একটি পুকুর ঘাট পরিষ্কার করা হয়েছে।
গত বছরেও ছটের দিন বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে কলার কাঁদি, নারকেল ও নানা ফল ভর্তি বড় ডালা মাথায় নিয়ে হেঁটে বা ভ্যানে নিয়ে চূর্ণীর বিভিন্ন ঘাটে গিয়েছেন লোকজন। সঙ্গে ভ্যানরিকশায় অথবা ছোট লরিতে বড় ডিজে বক্সে তারস্বরে গান। সঙ্গে তাসা বা ব্যান্ডের বাজনা। রাস্তার দু’পাশের বাসিন্দাদের কান ঝালাপালা। রাত থেকে শুরু করে পরের দিন ভোরে সূর্যদর্শন করে ফেরা ইস্তক শব্দের এই উৎপাত সহ্য করতে হয়।