Advertisement
E-Paper

ছটে ডিজে আর বাজি নয় আজ 

মুখে মাস্ক পরে পুজো করতে এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ছটের জন্য রানাঘাট ছোট বাজারে চূর্ণী নদীর ঘাট এবং কুপার্সের একটি পুকুর ঘাট পরিষ্কার করা হয়েছে।  

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০২০ ০৬:৫২
কুপার্সে পুলিশের প্রচার।

কুপার্সে পুলিশের প্রচার।

ডিজে বক্স বাজিয়ে চূর্ণীর ঘাটের দিকে মানুষের ঢল আর শব্দবাজির উৎপাত প্রতি ছটের চেনা চিত্র। এ বার সে সব যে করেই বন্ধ করার চেষ্টায় নেমেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কুর্পাস বাজারে পুলিশকর্মীদের মাইক নিয়ে প্রচার করতে দেখা গিয়েছে। বারবার ঘোষণা করা হচ্ছে, শুক্রবার ছট পুজোয় কোনও রকম বাজি ফাটানো যাবে না। সরকারি নিয়ম মেনে পুজো করতে হবে। কোনও রকম জমায়েত করা চলবে না। মুখে মাস্ক পরে পুজো করতে এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ছটের জন্য রানাঘাট ছোট বাজারে চূর্ণী নদীর ঘাট এবং কুপার্সের একটি পুকুর ঘাট পরিষ্কার করা হয়েছে।

গত বছরেও ছটের দিন বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে কলার কাঁদি, নারকেল ও নানা ফল ভর্তি বড় ডালা মাথায় নিয়ে হেঁটে বা ভ্যানে নিয়ে চূর্ণীর বিভিন্ন ঘাটে গিয়েছেন লোকজন। সঙ্গে ভ্যানরিকশায় অথবা ছোট লরিতে বড় ডিজে বক্সে তারস্বরে গান। সঙ্গে তাসা বা ব্যান্ডের বাজনা। রাস্তার দু’পাশের বাসিন্দাদের কান ঝালাপালা। রাত থেকে শুরু করে পরের দিন ভোরে সূর্যদর্শন করে ফেরা ইস্তক শব্দের এই উৎপাত সহ্য করতে হয়।

এমনিতে রানাঘাট শহরে ছটের জমক বেশি। তার প্রধান কারণ, শহরের পূর্ব ও পশ্চিম পারে অবাঙালি মানুষের বসবাস। এ ছাড়াও, রানাঘাট ১ নম্বর ব্লকের আনুলিয়া ও হবিবপুর-সহ কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা এবং কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েডের ৭, ৮ এবং ১০ নম্বর ওয়ার্ডেও বহু হিন্দিভাষী মানুষ বসবাস করেন। ছট মূলত তাঁদেরই পরব। এই সব জায়গাতেই ছটপুজোর প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। যদিও গত বছরের তুলনায় তোড়জোড় অনেকটাই কম।

রানাঘাট শহরে পূর্ব পারের বাসিন্দা সীতা সাহু, কল্পনা রায়েরা বলেন, “করোনার কারণে এ বার অনেক কিছু বাতিল করা হয়েছে। সরকারি নিয়ম মেনে পুজো করা হবে। দু’চার জন চূর্ণী নদীতে পুজো দিতে যাবে। বাকিরা বাড়িতে থাকবে। ারা যাবে তাদের সঙ্গে কোনও বাজনা থাকবে না। বাজিও ফাটানো হবে না। দু’একটি বাড়িতে হয়তো নিচু শব্দে বক্স বাজানো হবে।” রানাঘাট পুরসভার প্রশাসক সদস্য প্রবিত্র ব্রহ্ম বলেন, “এই শহরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন। সকলেই নিজের পরব পালন করেন। ছটের জন্য ঘাট পরিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।” কুপার্স ক্যাম্প নোটিফায়েডের ভাইস চেয়ারম্যান দিলীপকুমার দাস বলেন, “সকলেরই ইচ্ছা, কাছাকাছি কোনও নদীতে পুজো দেওয়া। যাঁরা যেতে পারেন না, তাঁরা শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের একটি পুকুরে পুজো দেন। সেখানে মাস্ক আর স্যানেটাইজ়ারের ব্যবস্থা থাকছে।” পুলিশ সুত্রে জানানো হয়েছে, সরকারি নিয়ম মেনে যাতে ছট পুজো করা হয়, সে জন্য বিভিন্ন জায়গায় প্রচার শুরু করা হয়েছে। বিভিন্ন ঘাটে এবং নদীর পথে রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

Chat Puja Crackers
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy