Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

হাসপাতালে আক্রান্ত নার্স, থানায় পুলিশ

কয়েক দিন আগে নাকাশিপাড়া থানারাই এক কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন 
শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০২০ ০২:৪৮
Share: Save:

জেলা হাসপাতালে করোনার হামলা অব্যাহত। কিন্তু এ বার চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছে পুলিশও।

নাকাশিপাড়া থানার এক সাব-ইনস্পেক্টরের করোনা রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে মঙ্গলবার রাতে। তাঁকে থানা চত্বরেই নিজস্ব আবাসনে নিভৃতবাসে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ দিকে ফের করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন জেলা হাসপাতালের নার্স, সাফাইকর্মী, রোগী সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীরা। ফলে নতুন করে সেখানে অচলাবস্থা তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কয়েক দিন আগে নাকাশিপাড়া থানারাই এক কনস্টেবল করোনায় আক্রান্ত হন। তার পরেই গত ২৫ জুলাই থানার সমস্ত অফিসার ও কর্মীদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। বুধবার ওই অফিসারের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এতে থানার অন্য অফিসার ও কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। জেলা পুলিশের তরফে তাঁদের ‘কাউন্সেলিং’ করা হচ্ছে। থার্মাল চেকিং করে এবং মাস্ক আছে কি না দেখেই লোকজনকে থানায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের ব্যবস্থাও রয়েছে।

আগেই জেলা সদর হাসপাতালের এক করোনা আক্রান্ত স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের সংস্পর্শে আসায় গৃহবন্দি হতে হয়েছিল জেলার প্রায় সমস্ত স্বাস্থ্যকর্তার। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে হাসপাতাল সুপার-সহ অনেকেরই লালারস পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছিল। রবিবার রাতে রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরে সোমবার থেকে তাঁরা ফের কাজে যোগ দেন। কিন্তু ওই দিন রাতেই জেলা হাসপাতালের দুই ক্যাম্পাসের পাঁচ জনের পজ়িটিভ রিপোর্ট এসেছে। শিশু বিভাগের আট জন নার্সের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করতে দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে এক জনের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। শিশু বিভাগের এক সাফাইকর্মী এবং সদর ক্যাম্পাসের দুই সাফাইকর্মীরও করোনা ধরা পড়েছে। জেলা হাসপাতালের রোগী সহায়তা কেন্দ্রের দুই মহিলা কর্মীরও রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। দিন কয়েক আগে তাঁদের জ্বর এসেছিল। কাজে যোগ দেওয়ার আগে তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়। তাঁদের সঙ্গে আরও এক মহিলা কর্মীর পরীক্ষা হয়েছিল, তিনি সুস্থই আছেন। রোগী সহায়তা কেন্দ্রের মোট আট কর্মীর বাকি পাঁচ জনের লালারসের নমুনাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

রোগী সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সংস্থার কর্ণধার জয়দেব দত্ত বলছেন, “রোগী পরিষেবা কোনও ভাবেই বন্ধ রাখা যাবে না। আমাদের যে কর্মীর রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জোগানো কর্মীদের নিয়ে ওয়ার্ডমাস্টারের ঘরে বিভাগ চালু রেখেছেন।” হাসপাতাল সুপার শচীন্দ্রাথ সরকার বলেন, “আক্রান্ত নার্সের সংস্পর্শে যাঁরা আসতে পারেন তাঁদের সকলেরই পরীক্ষা হয়েছে। আক্রান্ত সাফাইকর্মীদের সংস্পর্শে কারা এসেছেন তা চিহ্নিত করা হচ্ছে।”

(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।

• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus in West Bengal Nadia Police nurse
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE