৪৫ বছরের ছেলে হোয়াট্সঅ্যাপে স্টেটাসে লিখেছিলেন, ‘আমি সুইসাইড করব।’ বাবার দাবি, তার কিছু ক্ষণ পরেই ছেলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় দোকান থেকে। কেন আত্মহত্যা করছেন, তা লেখেননি নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা রাজকুমার সাধুখাঁ। তবে বাবার দাবি, বৌমার অত্যাচারে আত্মহত্যা করেছেন ছেলে। বৃদ্ধের অভিযোগের ভিত্তিতে জিনিয়া সাধুখাঁ নামে ওই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার কৃষ্ণনগরের হাতারপাড়া এলাকায় বাড়ি থেকে উদ্ধার রাজকুমার নামে ওই ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত দেহ। মুদির দোকান ছাড়াও পানীয় জলের ব্যবসা করতেন তিনি। স্ত্রী-ও পৃথক একটি ব্যবসা করেন।
প্রতিবেশীদের দাবি, ওই পরিবারে আর্থিক সমস্যার কথা কেউ শোনেননি। দাম্পত্য কলহের কথাও কেউ জানেন না। তবে পুলিশের কাছে মৃতের বাবার দাবি করেন, ছেলের মৃত্যুর জন্য দায়ী বৌমা। তিনি বলেন, ‘‘বৌমা আমার ছেলের কাছ থেকে সব টাকা কেড়ে নিত। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে রাজকুমার।’’
আরও পড়ুন:
পুলিশ সূত্রের খবর, রাজকুমার এবং জিনিয়ার ২০ বছরের দাম্পত্য জীবন। তাঁদের একমাত্র সন্তান এ বারের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। রবিবার দুপুরে দোকানে সিলিং ফ্যানে দড়ি পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন রাজকুমার। টের পেয়ে স্ত্রী-ই তাঁকে উদ্ধার করেন এবং হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাজকুমারের বাবার অভিযোগ অনুযায়ী, মৃতের স্ত্রীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। কৃষ্ণনগর থানার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।’’