বেআইনি মাদক কারবারের অর্থ পৌঁছেছে জঙ্গিদের অ্যাকাউন্টে? দিল্লি বিস্ফোরণের সঙ্গে যোগ থাকার সন্দেহে এক অভিযুক্তকে জেরা করছে রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)।
নদিয়ার কৃষ্ণনগরের পলাশিপাড়া থেকে দিল্লি বিস্ফোরণের অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে প্রায় দশ লক্ষ টাকা স্থানান্তর হয়েছে বলে একটি তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। তার সত্যতা যাচাইয়ের কাজ চলছে। পুলিশের একটি সূত্রে খবর, রবিবার নদিয়ার নলদহ গ্রামের বাসিন্দা ফয়জল আহমেদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ওই সূত্র মারফত এ-ও জানা যাচ্ছে, তিন বছর আগে মাদক কারবারে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হন ফয়জলের দাদা সাবির আহমেদ। বর্তমানে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে রয়েছেন তিনি। জেলবন্দি সাবিরের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে নাকি দিল্লি বিস্ফোরণের অভিযুক্তদের অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। ওই নিয়ে সাবিরকে জেরা করার পর গত শুক্রবার রাতে এসটিএফের একটি দল নলদহ গ্রামে যায়। তার পর সাবিরের ভাই ফয়জলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে খবর। তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘এক জনকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে এসটিএফ। এর বাইরে আমরাও কিছু জানি না। আমাদের সঙ্গে কিছু ‘শেয়ার’ করা হয়নি।’’
সাবিরকে নিয়ে গ্রামবাসীদের একাংশের ধারণা ভাল নয়। তাঁদের সন্দেহ, জঙ্গি কার্যকলাপে সাবিরের পক্ষে জড়ানো অসম্ভব কিছু নয়। স্থানীয় এক বাসিন্দার বক্তব্য, ‘‘বড় নলদহ-সহ পলাশিপাড়া থানার একাধিক গ্রাম থেকে বেশ কয়েক জন মাদক কারবারি ধরা পড়েছে। এই ব্যবসা যাঁরা করেন, তাঁদের হাতে অনেক টাকা থাকে। সেই টাকা জঙ্গিদের কাছে যায় বলে আমরাও শুনেছি।’’ যদিও সাবিরের আত্মীয়া হাসনাহারা বিবি সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি, ‘‘সাবির কী ভাবে কাউকে টাকা দেবে? ও তিন বছর ধরে জেলে রয়েছে। আমাদের কিছু জানা নেই।’’
আরও পড়ুন:
অন্য দিকে, দিল্লির লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণের পর শিয়ালদহ এবং হাওড়া স্টেশনচত্বরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এখন কোনও গাড়িকে স্টেশনচত্বরের বাইরে বেশি ক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না।