শিশু খুনের ঘটনায় পুলিশ আরও একজনকে গ্রেফতার করল। কৃষ্ণগঞ্জের তারকনগরের বছর পাঁচেকের এক শিশুকে খুনে পুলিশ বৃহস্পতিবার পড়শি দশম শ্রেণীর এক পড়ুয়াকে গ্রেফতার করে। পুলিশ তাকে জেরা করে শুক্রবার গ্রামেরই আর এক নাবালককে গ্রেফতার করল। ধৃতদের কৃষ্ণনগরের জুভেনাইল আদালতের বিচারক ১৪ দিনের জন্য হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় নাবালকদের জড়িয়ে পড়া উদ্বেগের বিষয়।’’ বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার সকালে এলাকার লোকজন ধৃত দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রের বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরে আগুন লাগায়। তার বাবা-মাকে মারধর করা হয়। পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
সোমবার বছর পাঁচেকের অর্ণব সরকার গ্রামের প্রাথমিক স্কুল থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। বুধবার বাড়ির অদূরে তার দেহ উদ্ধার হয়। মুক্তিপণ চেয়ে ওই শিশুটির বাবাকে ফোনও করা হয়। দেহ উদ্ধারের পর এলাকার লোকজন বিক্ষোভ দেখায়। বিক্ষোভের ভিড়ে মিশে যান কয়েকজন সাদা পোশাকের পুলিশকর্মী। তাঁদের চোখে দশম শ্রেণীর ওই পড়ুয়াদের আচরণ অস্বাভাবিক ঠেকে। তারপর তাকে বৃহস্পতিবার ধরা হয়। তাকে জেরা করে শুক্রবার আর এক নাবালককে ধরল পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে ধৃতেরা তাদের অপরাধের কথা কবুল করেছে। জানা গিয়েছে, মৃতের বাবা ননীগোপাল সরকার দশম শ্রেণীর ওই পড়ুয়ার বাড়িতে যেত। এক দিন ওই পড়ুয়াকে ননীগোপালবাবু মারধরও করেন। সেই কারণে সে ননীগোপালবাবুকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার জন্য তার ছেলেকে খুন করেছে। এমনটাই দাবি করছে পুলিশ। অন্যদিকে শুক্রবার যে নাবালককে পুলিশ ধরেছে ননীগোপালবাবু অনেকদিন আগে তাকেও মেরেছিল। পুলিশের দাবি, সেই কারণে সে ওই শিশুটিকে খুন করেছে।