Advertisement
২৩ মার্চ ২০২৩
Train Services

দেরিতেই চলছে ট্রেন, ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

সকাল ১০.৪০ মিনিটে ডাউন ভাগীরথী এক্সপ্রেস শিয়ালদহ পৌঁছানোর কথা থাকলেও, ওই ট্রেন এ দিন বিকেল চারটের পর গন্তব্যে পৌঁছোয়।

ট্রেনের দেখা নেই। রানাঘাট স্টেশনে হয়রান যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র

ট্রেনের দেখা নেই। রানাঘাট স্টেশনে হয়রান যাত্রীরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রানাঘাট শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৩ ০৭:০৭
Share: Save:

শিয়ালদহ মেন শাখায় ট্রেনের দুর্ভোগ বেশ কিছু দিন ধরেই চলছে। শুক্রবার সেই দুর্ভোগের মাত্রা কয়েক গুণ বেড়ে গেল। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি এ দিন চরম হয়রানির শিকার হন এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরাও। এর জন্য রেলের অব্যবস্থাকেই দায়ীকরছেন তাঁরা।

Advertisement

সকাল ১০.৪০ মিনিটে ডাউন ভাগীরথী এক্সপ্রেস শিয়ালদহ পৌঁছানোর কথা থাকলেও, ওই ট্রেন এ দিন বিকেল চারটের পর গন্তব্যে পৌঁছোয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন যাত্রীরা। সকাল সাড়ে সাতটায় শিয়ালদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়া ডাউন রানাঘাট লোকাল এ দিন নির্ধারিত সময় সকাল ৯টা ১২ মিনিটের জায়গায় দুপুর ১টা ৫ মিনিটে শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছোয়! আবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটের ডাউন শান্তিপুর-শিয়ালদহ লোকাল রানাঘাট পৌঁছতে সময় নেয় প্রায় চার ঘণ্টা।

পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার রাতের ঝড়-বৃষ্টির কারণে কল্যাণী ও নৈহাটি রেলস্টেশনের মাঝে রেলের যে কাজ চলছিল সেখানে কিছু সমস্যা হয়েছে। এ দিন ট্রেনের দুর্ভোগের সেটাই কারণ।’’

রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক দিন আগে কল্যাণী ও নৈহাটি রেল স্টেশনের মাঝে রেলের ইন্টারলকিং সিস্টেম, দ্বিতীয় রেল লাইন ও অটো সিগন্যালের কাজ শুরু হয়েছে। তা জন্য ১৪ মার্চ থেকে ১৯ মার্চ পর্যন্ত দৈনিক গড়ে প্রায় ২১ জোড়া ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল পূর্ব রেল। ট্রেন বাতিল করার পরেও, অন্য ট্রেনগুলি নির্ধারিত সময়ের থেকে ৪-৫ ঘণ্টা দেরিতে চলায় যাত্রী দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।

Advertisement

শুক্রবার বহরমপুর স্টেশন থেকে ডাউন ভাগীরথী এক্সপ্রেসে বহরমপুর গোড়াবাজারের বাসিন্দা আজিজুল শেখ। তাঁর একরত্তি ছেলের হৃদযন্ত্রে সমস্যা রয়েছে। কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে দেখাতে নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু ট্রেনের গোলমালের জন্য ভাগীরথী এক্সপ্রেস রানাঘাটে পৌঁছতেই দুপুর সাড়ে বারোটা বেজে যায়। বাধ্য হয়ে সেখানে নেমে বাসে ধরে বাড়ি ফিরে আসেন। একই ভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন উচ্চ মাধ্যমিক ও আইসিএসই পরীক্ষার্থী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.