বমিকাণ্ডের পর আবারও বিতর্কে নদিয়ার শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। এ বার হাসপাতালের ওষুধের কাউন্টার থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় ইতিমধ্যে অভিযোগ জমা পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। শান্তিপুর হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক তারক বর্মণ জানিয়েছেন, বিষয়টি যাচাই করে দেখা হবে।
অভিযোগকারী রোগী পেশায় পুরকর্মী। তাঁর দাবি, শুক্রবার সকালে শান্তিপুর হাসপাতালের বহির্বিভাগে তিনি ডাক্তার দেখাতে যান। ডাক্তার দেখানোর পরে হাসপাতালের ওষুধের কাউন্টার থেকেই ওষুধ সংগ্রহ করেন তিনি। রোগীর অভিযোগ, সেই সময়ে তাঁকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার ডাক্তার দেখিয়ে ওষুধ নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরে যান। কাউন্টার ছাড়ার সময়ে ওষুধের মেয়াদ বা অন্য তথ্য ঘেঁটে দেখেননি তিনি। রোগীর দাবি পরে বাড়িতে ফিরে তিনি দেখেন, একটি ওষুধের মেয়াদ রয়েছে ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষুব্ধ ওই রোগী বলেন, “আমি আউটডোরে ডাক্তার দেখাই। সেখান থেকে টোকেন করে দেয়। সেই হিসাবে আমি ওষুধের কাউন্টার থেকে ওষুধ নিই। রাতে খেতে গিয়ে দেখি জানুয়ারির ২৫ তারিখ পর্যন্ত এটির মেয়াদ রয়েছে। এটি খেলে তো আমার ভালর চেয়ে ক্ষতি বেশি! হাসপাতালে আমরা সুস্থ হতে আসি। কিন্তু, উল্টে ক্ষতি হলে দায় কে নেবে?”
আরও পড়ুন:
এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তিনি। ঘটনার কথা জানাজানি হতে শোরগোল পড়েছে চিকিৎসক মহলেও। যদিও এই ধরনের অভিযোগ মানতে নারাজ হাসপাতালের ওষুধ বিভাগের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা। ওষুধের কাউন্টারের এক কর্মীর পাল্টা প্রশ্ন, “কেউ যদি ওষুধ না খেয়ে রেখে দেন তাহলে কী করা যেতে পারে?” যদিও রোগীর দাবি, তিনি শুক্রবারই ওই ওষুধ নিয়ে গিয়েছেন বাড়িতে।
এ বিষয়ে শান্তিপুর হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক বর্মণ বলেন, “অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে এবং ওষুধ সরবরাহ প্রক্রিয়া পুনরায় যাচাই করা হবে।” অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।