আজও মেলেনি এনওসি
বহরমপুর শহরের রন্ধ্রে রন্ধ্রে রয়েছে অনেক রাজনৈতিক ট্র্যাজেডি। বাম আমল থেকে নেতিবাচক রাজনৈতিক সংস্কৃতির শিকার এই শহর। উল্টো স্রোতে হেঁটে মাননীয় সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অধীর চৌধুরী শহরটাকে নতুন মাত্রা দিলেও পরিবর্তিত রাজনৈতিক সমীকরণে নাগরিক সমাজ আজও অনেকটাই অবহেলিত। কেননা, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী দু’ দুবার রেলমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও শহরের ভিতরে অবস্থিত ৩ টি রেলগেটের উড়ালপুল সম্পর্কে ভাবেননি। ফলে শহরের বুক চিরে চলে যাওয়া ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে নিত্যদিন যানজট লেগেই থাকে।
যানজটে আটকে থাকতে হয় রোগী থেকে শুরু করে নিত্যযাত্রী সকলকেই। খুব কম সময়ের জন্য অধীর চৌধুরী রেলের রাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েই বহরমপুর শহরের ২টি রেলগেটের উপর ২টি উড়াল পুল নির্মাণের জন্য ৩৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ঠিকাদার সংস্থা পর্যন্ত নিয়োগ করেন।
প্রয়োজন কেবল রাজ্য সরকারের এনওসি, অর্থাৎ নো অবজেকশন সার্টিফিকেট। উড়ালপুল নির্মাণ হয়ে গেলে কোন দলের বা কোন নেতা-নেত্রীর কৃতিত্ব বাড়বে বা কমবে সেই সংকীর্ণ রাজনৈতিক খেলায় রাজ্যের তরফে আজও মেলেনি এনওসি। রেলের বরাদ্দ টাকা পড়ে আছে সরকারি কোষাগারে। ফলে বাড়ছে নির্মাণ খরচের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের ভোগান্তি।
৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের বুক চিরে চলে যাওয়া রেললাইন দিয়ে ২৪ ঘন্টায় ৩২ বার ট্রেন যাতায়াত করে। রেলগেট বন্ধ করতে হয় ২৪ ঘন্টায় ৩২ বার। ফলে সীমাহীন যানজটে পর্যটকদেরও ভোগান্তি চরমে ওঠে। পর্যটনের উন্নয়নের সফরে এসে আজ পাশের শহর লালবাগের মতিঝিলে মুখ্যমন্ত্রীর নিশিযাপনের কথা। তাঁর কাছে বিনীত অনুরোধ, সংখ্যালঘু মুসলিম অধ্যুষিত এই পিছিয়ে পড়া জেলার উপর আর প্রতিহিংসা নয়। মুক্তমনে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট দান করে রেলকে দু’টি উড়ালপুল নির্মাণের সুযোগ দিয়ে এ জেলার মানুষের আশীর্বাদ লাভ করুন।
সমিত মণ্ডল, অধ্যাপক ফরাক্কা সৈয়দ নুরুল হাসান কলেজ, বহরমপুর।