Advertisement
০২ মে ২০২৪
TMC

ব্রাত্যর বক্তৃতার মাঝখানেই মাঠ ছাড়লেন অনেকে

জেসিএম স্কুলমাঠে আয়োজিত ওই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিজেপিকে টক্কর দিতে নড্ডার জনসভার মাঠের থেকে আয়তনে বড় একটি মাঠ ঠিক বেছেছিল তৃণমূল।

মাঠ ছেড়ে যাত্রা। নিজস্ব চিত্র

মাঠ ছেড়ে যাত্রা। নিজস্ব চিত্র

সন্দীপ পাল
নাকাশিপাড়া শেষ আপডেট: ২২ জানুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৭
Share: Save:

বেশ কিছু দিন ধরেই নদিয়ার রাজনীতিতে শাসক ও বিরোধী দলের মধ্যে সভা-পাল্টা সভার প্রচ্ছন্ন লড়াই চলছে। মুখে সেই লড়াইয়ের কথা কেউ স্বীকার না করলেও কোনও পক্ষ একটি জায়গায় জনসভা করার পরেই অপর পক্ষ সেখানে জনসভার কর্মসূচি রাখছে। পঞ্চায়েত ভোটই এই প্রতিযোগিতার লক্ষ্য বলে মত রাজনীতি বিশেষজ্ঞদের। যেমন বেথুয়াডহরিতে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎপ্রসাদ নড্ডার জনসভার এক দিন পরেই শনিবার পাল্টা সভা করল তৃণমূল।

জেসিএম স্কুলমাঠে আয়োজিত ওই সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিজেপিকে টক্কর দিতে নড্ডার জনসভার মাঠের থেকে আয়তনে বড় একটি মাঠ ঠিক বেছেছিল তৃণমূল। কিন্তু ঠিক যতটা লোকসমাগম তাদের কাঙ্খিত ছিল তার ধারেকাছে ভিড় হয়নি বলে অভিযোগ। দলের অনেকেই মানছেন যে, ছন্নছাড়া ভাব ছিল সভায়। দলের অনুমান ছিল, প্রায় ৩০ হাজার কর্মী-সমর্থক আসবেন। কিন্তু ৭-৮ হাজারের বেশি লোক হয়নি বলে অভিযোগ। যদিও পুলিশের দাবি, ১২ হাজারের মতো লোক হয়েছিল।

তার উপর প্রধান বক্তার বক্তৃতা চলাকালীন অনেক কর্মী-সমর্থক সভাস্থল ছেড়ে চলে যেতে শুরু করায় মঞ্চে থাকা তৃণমূল নেতৃত্ব দৃশ্যত বিব্রত হয়ে ওঠেন। ব্রাত্য বসু বক্তৃতা চলাকালীন সভা ছেড়ে যাওয়া কর্মীদের বার-বার বসতে বলায় নাকাশিপাড়া ব্লক তৃণমূলের কংগ্রেসের সভাপতি কনিষ্ক চট্টোপাধ্যায়কে ধমকও খেতে হয় ব্রাত্য-র কাছে। কিন্তু কে শোনে কার কথা! সভার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দলে-দলে কর্মী-সমর্থকে চলে যেতে দেখে ব্রাত্যও বক্তৃতা দ্রুত শেষ করে দেন।

এই বিষয়ে নাকাশিপাড়া ব্লকের বিজেপির আহ্বায়ক অনুপ কুমার মণ্ডল বলেন, ‘‘ওরা চেয়েছিল আমাদের ছাপিয়ে যেতে। তা পারেনি। বেশির ভাগ কর্মী ওরা নিয়ে এসেছিল টাকা দিয়ে ও ভয় দেখিয়ে। আর শিক্ষা দফতরের যা অবস্থা তাতে শিক্ষা মন্ত্রীর কথা কেউ শুনবে না। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে সঠিক ভোট হলে এই ব্লক নয়, জেলা জুড়েই আমাদের জয় হবে।’’

তবে তৃণমূলের নাকাশিপাড়া ব্লকের তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সিরাজ সেখ দাবি করেন, ‘‘গ্রাম থেকে অনেকেই এসেছিল। তাঁরা মুখ ফিরিয়ে নিলে আসবেন কেন। সভার একেবারে শেষের দিকে দূরের কয়েকজন চলে যাচ্ছিলেন। এটা ভাবতে হবে যে ওঁরা দূর থেকে এসেছিলেন হেঁটে, মিছিল করে। তবে অনেকেইছিলেন শেষ পর্যন্ত।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC nakashipara Bratya Basu
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE