Advertisement
E-Paper

রাস্তা বেহাল, নলকূপ থাকলেও জল মেলে না

কয়েক বছর আগে ওই পঞ্চায়েতের কয়েকটি জায়গায় পানীয় জলের পাইপ বসানো হয়েছে। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় নলকূপ বসানো হলেও তাতে জল পড়ে না।

প্রদীপ ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৪৩
বেহাল রাস্তা।

বেহাল রাস্তা। — নিজস্ব চিত্র।

বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া ভগবানগোলা বিধানসভার বালিগ্রাম পঞ্চায়েত। ভগবানগোলা-২ ব্লকের মধ্যে এই এলাকা পড়ে। সীমান্ত লাগোয়া এই এলাকায় রয়েছে রাস্তা, পানীয় জল, নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে এলাকাবাসীর বহু অভিযোগ রয়েছে।

কয়েক বছর আগে ওই পঞ্চায়েতের কয়েকটি জায়গায় পানীয় জলের পাইপ বসানো হয়েছে। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় নলকূপ বসানো হলেও তাতে জল পড়ে না। গ্রামবাসীরা চাতক পাখির মতো অপেক্ষায়, একদিন সেই নলকূপ দিয়ে জল পড়বে।

আবাস যোজনায় অনিয়মের অভিযোগ নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। ফুলপুর গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মণ্ডল বলেন, “দু’ বছর আগে পানীয় জলের পাইপ বসানো হয়েছে। কিন্তু আজও সেখানে জল মেলে না। নিকাশি বলতে এলাকায় কিছুই নেই। রাস্তাঘাটের অবস্থাও তথৈবচ। ফুলপুর থেকে তিন কিমি পথ পার করে রানিতলা হয়ে খড়িবোনা নশিপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হয়। রোগী নিয়ে সে পথ দিয়ে যাওয়া কঠিন। তিন কিমি রাস্তা দীর্ঘ এক দশক ধরে বেহাল দশা।” ওই গ্রামের আরেক বাসিন্দা পদ্মাবতী মণ্ডল বলেন, “সরকারি প্রকল্পের কয়েকটি সুবিধে পেলেও এক চিলতে পাটকাটির বাড়িতে বাস করি। পক্ষাঘাতে শয্যাশায়ী অথর্ব স্বামীকে নিয়ে কোনওরকমে দিন কাটে। দশ বছর আগে আবাস যোজনার ঘরের জন্যে আবেদন করেছি। আজও আমার পরিবারের নামে ঘরের অনুমোদন আসেনি।’’ তিনি আরও জানান, গ্রীষ্মকালে এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা চরম আকার ধারণ করে। পানীয় জলের লাইন বসলেও জল মেলে না।”

বালিগ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গোলাম মোর্তজা আবাস যোজনা প্রসঙ্গে বলেন, “২০১৮ সালে আবাস যোজনায় ৬,৩১৪ জনের নাম নথিভুক্ত করা হয়। কিন্তু অনুমোদন এসেছে তার প্রায় অর্ধেক ৩,০৭৬ পরিবারের। এতে আমাদের কোনও হাত নেই।” নিকাশি নিয়ে তাঁর দাবি, “এলাকায় বহু জায়গায় নিকাশি নালা করা হয়েছিল। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই নালাগুলি আবর্জনা ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পঞ্চায়েত এলাকায় রাস্তাঘাট, নর্দমা পরিষ্কার রাখার জন্যে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের সুবিধে নেই। সেই জন্যে সেগুলি রক্ষণাবেক্ষণে সমস্যা হয়।

একই সঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী ছ’ মাসের মধ্যেই এলাকার প্রত্যেকটি গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে যাবে বলে আশা করছি। পঞ্চায়েত এলাকার দু’টি জায়গায় জলাধার নির্মাণের কাজ প্রায় শেষের পথে।” রাস্তা প্রসঙ্গে তিনি জানান, দ্রুতগতিতে রাস্তার কাজ চলছে। পঞ্চায়েত এলাকার সব রাস্তার কাজ কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। গ্রামীণ এলাকার অধিকাংশ রাস্তা প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনার অধীনে থাকায় কেন্দ্রের অর্থবরাদ্দের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় বলেও দাবি তাঁর।

Drinking Water Crisis Indo Bangladesh Border
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy