নিজস্ব চিত্র।
ঢাকা দেওয়া গাড়িতে শহরের আবর্জনা ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ‘স্বচ্ছ ভারত মিশন’ প্রকল্প থেকে আড়াই বছর আগে বহরমপুর পুরসভাকে দেওয়া হয় ‘অটো কমপ্যাক্টার’ গাড়ি। ওই গাড়িতে ৯ মেট্রিক টন বর্জ্য নিমেষে ৩ মেট্রিক টনে পরিণত হয়। ঢাকা দেওয়া ওই গাড়িতে নোংরা-আবর্জনা নিয়ে যাওয়া হলে রাস্তা ময়লা ও দুর্গন্ধ কোনওটাই ছড়াবে না। কিন্তু তার পরেও ঢাকনা খোলা ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়ার ফলে আবর্জনা উপচে রাস্তায় পড়ে। দিন কয়েক আগে ছোট্ট শিশুকে স্কুটিতে চাপিয়ে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার পথে সাত সকালে বহরমপুর পুরসভার ট্রাক্টর থেকে আবর্জনা উপচে পড়ে মা ও মেয়ের গায়ে। স্বর্ণময়ী বাজার, মোহনা বাস টার্মিনাস লাগোয়া প্রাঙ্গন মার্কেটের সামনে ও সমবায়িকার মোড়ের মত জনবহুল ও ব্যস্ততম রাস্তায় আবর্জনায় উপচানো পুরসভার ট্রাক্টরের পাশাপাশি যানজটে আটকে পড়লে যে দুর্বিষহ পরিস্থিতি হয়, তার সঙ্গে নরক যন্ত্রণার তুলনা করা যায়। এ প্রসঙ্গে বহরমপুর পুরপ্রধান তৃণমূলের নীলরতন আঢ্য বলেন, ‘‘দু’টি ‘অটো কমপ্যাক্টার’ গাড়ি পাওয়া গিয়েছে। আবর্জনা সাফাই করতে ওই গাড়ি ব্যবহার হয়। কিন্তু প্রয়োজন মিটছে না। তাই পুর ও নগর উন্নয়ন দফতরের কাছে আরও ৪টি ‘অটো কমপ্যাক্টার’ গাড়ি চাওয়া হয়েছে।’’ ঢাকনাওয়ালা, ঢাকনাহীন ও ‘অটো কমপ্যাক্টার’— বহরমপুর শহরের আবর্জনা ফেলেতে ওই ৩ ধরণের গাড়ি ব্যবহার করা হয় বলে জানান সহকারি পুরপ্রধান জয়ন্ত প্রামানিক। তিনি জানান, পুরসভার ঢাকনাহীন গাড়িতে আবর্জনা ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রিং রোডের ভাগাড়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করার কথা ভাবা হচ্ছে। সরু রাস্তায় ‘অটো কমপ্যাক্টার’-এর মতো বড় গাড়ি চলতে না পারায় ঢাকনাহীন ছোট গাড়ি ঢোকাতে হয়। তাতেও সমস্যা বাড়ে।’’ রিং রোডের ভাগাড়ে বর্জ্য থেকে জৈবসার, ইট, প্লাস্টিক-পলিথিন, পিচ ও জ্বালানি গ্যাস তৈরির পরিকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy