রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে পোস্টার। রানাঘাটে। ছবি: প্রণব দেবনাথ
শুভেন্দুর পর এ বার রাজীব। রাজ্যের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনেও প্ল্যাকার্ড দেখা গেল রানাঘাট শহর এবং লাগোয়া এলাকায়।
শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জলঘোলা শুরু হওযা ইস্তক মাঝে-মধ্যেই তাঁর সমর্থনে পোস্টার এবং প্ল্যাকার্ড দেখা যাচ্ছে নদিয়ায়। রাজীব প্রকাশ্যে বেসুর গাইতেই সোমবার রানাঘাট শহর এবং রানাঘাট ১ ব্লকের হবিবপুর-সহ একাধিক জায়গায় তাঁ নামে প্ল্যাকার্ড দেখা গেল। সেখানে তাঁর ছবি ছাড়াও লেখা, ‘ছাত্র যুবর নয়নের মণি’, ‘আমরা দাদাকে ভালবাসি’। প্রত্যাশিত ভাবেই এই নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে।
লোকসভা ভোটের পরে জেলায় তৃণমূলের সংগঠন রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগর এই দুই ভাগে ভেঙে সার্বিক ভাবে গোটা নদিয়ার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল রাজীবকে। মাস পাঁচেক আগে ফের সংগঠন আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়। তুলে দেওয়া হয় পর্যবেক্ষকের পদও। এক বছরেরও বেশি পর্যবেক্ষকের দায়িত্বে থাকার সময়ে একাধিক বার এসে বৈঠক করেছেন রাজীব। ফলে তাঁর ঘনিষ্ঠ বা পরিচিত নেতাকর্মীর সংখ্যাও জেলায় কম নয়।
দিন কয়েক আগেই দলের একাংশের বিরুদ্ধে মুখ খুলে রাজীব বলেছেন, “স্তাবকতা করলেই নম্বর বাড়ে।’ শুভেন্দু দল ছাড়লে ক্ষতি হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ অংশ এতেই তাঁর সমর্থক হয়ে উঠলেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে দলের অভ্যন্তরেই। আবার এর পিছনে বিজেপির হাত থাকতে পারে, এমন সন্দেহও সকলে উড়িয়ে দিতে পারছেন না। সম্প্রতি নদিয়ায় তৃণমূলের সাংগঠনিক রদবদলের পরে দলের একাংশের অসন্তোষ চাপা থাকেনি। জেলা নেতৃত্বের সামনে একাধিক সম্মেলনে তার প্রকাশ দেখা গিয়েছে। রবিবারই গয়েশপুরে দলের জেলা সভানেত্রীর সামনে বিক্ষোভ দেখান দলীয় কর্মীদের একাংশ। ফলে তার বহিঃপ্রকাশ এ ভাবে দেখা যাওয়া অসম্ভব নয়।
তবে জেলা তৃণমূলের অন্যতম কো-অর্ডিনেটর দীপক বসুর দাবি, “এ সব করে বিজেপি আমাদের দলে বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে। তবে এতে আমরা বিচলিত নই। কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ আছে।”
রানাঘাটের সাংসদ বিজেপির জগন্নাথ সরকারের কটাক্ষ, “তৃণমূলে এখন মুষলপর্ব শুরু হয়েছে। দলের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললেই তাকে সমর্থন করছে একাংশ। তাতে বিব্রত হয়ে এখন তৃণমূল সব কিছুতেই বিজেপির হাত দেখছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy