Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

খুনির খোঁজে সিউড়ি গেল পুলিশের দল

বন্ধুপ্রকাশের মা মায়ারানি বলেন, “পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনা জানানো হয়েছে। অথচ তিন দিন কেটে গেলেও পুলিশ কোনও কিনারা করতে পারেনি। বরং সংবাদমাধ্যমে এমন সব তথ্য দিচ্ছেন পুলিশ কর্তারা যার সত্যতা নেই। তাই পুলিশি তদন্তে আস্থা হারিয়ে ফেলছি আমরা। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হস্তক্ষেপ করুন।”

—ফাইল চিত্র।

—ফাইল চিত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদন
জিয়াগঞ্জ শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০১৯ ০২:৩৮
Share: Save:

জিয়াগঞ্জে শিক্ষক খুনে তদন্তের নামে পুলিশের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ তুলল মৃতের মা এবং পরিবারের লোকজন।

শুক্রবার সাগরদিঘির সাহাপুরে মৃতদের পারলৌকিক ক্রিয়ায় যোগ দিতে আসেন পরিবারের পরিজনেরা। সেখানেই বন্ধুপ্রকাশের মা মায়ারানি বলেন, “পুলিশের কাছে সমস্ত ঘটনা জানানো হয়েছে। অথচ তিন দিন কেটে গেলেও পুলিশ কোনও কিনারা করতে পারেনি। বরং সংবাদমাধ্যমে এমন সব তথ্য দিচ্ছেন পুলিশ কর্তারা যার সত্যতা নেই। তাই পুলিশি তদন্তে আস্থা হারিয়ে ফেলছি আমরা। আমরা চাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই হস্তক্ষেপ করুন।”

মৃতের আত্মীয় বন্ধুকৃষ্ণ এ দিন সরাসরি পুলিশকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘বৌদি, বিউটি মণ্ডলের চিঠি হিসেবে পুলিশ যা দেখাচ্ছে সেটা আদৌ ওঁর হাতের লেখাই নয়। তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যে বিবাদের কথা লেখা আছে বলে দেখানো হয়েছে সেটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’’ এ দিন পুলিশ অবশ্য জিয়াগঞ্জের পাশাপাশি সাহাপুরে গিয়েও তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারীদের একটি দল পাড়ি দেয় রামপুরহাট ও সিউড়িতেও। রামপুরহাট শহরের ভাঁড়শালাপাড়া এলাকার গ্যাস গলির একটি বাড়িতে ঘন্টা দেড়েক তল্লাশি চালায় পুলিশ। শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ লালবাগের এসডিপিও বরুণ বৈদ্যর নেতৃত্বে পুলিশ রামপুরহাটে আসে। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গ্যাস গলির বাসিন্দা শৌভিক বণিকের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানে অবশ্য শৌভিকের দেখা পায়নি। শৌভিকের মোবাইলের সূত্র ধরে প্রথমে তার বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। তার শোওয়ার ঘর থেকে তল্লাশি চালিয়ে কিছু কাগজপত্র বাজেয়াপ্ত করে।

বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় বাড়িতে শৌভিকের ভাই সৌরভ ছিলেন। বাবা অমিতাভ বণিক রাজ্য বিদ্যুত বণ্টন নিগমের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। পক্ষাঘাতগ্রস্ত মা শয্যাশায়ী। পুলিশি তল্লাশি চালানোর ব্যাপারে ভাই সৌরভ অবশ্য কিছু জানাতে চায়নি। বছর তেতাল্লিশের শৌভিক ছ’মাস বাড়ির বাইরে। কোথায় কি কাজ করে এলাকার বাসিন্দারাও জানেন না। পুলিশ জানতে পেরেছে, বিবাহ বিচ্ছেদের পরে শৌভিক বণিকের স্ত্রী বোলপুরে সীমান্ত পল্লিতে থাকেন। পরে, সিউড়ির অরবিন্দপল্লির একটি বাড়িতে গত চার মাস ধরে দু’হাজার টাকায় ভাড়া থাকতেন শৌভিক বলে জানতে পেরে সেখানেও ওই যুবকের খোঁজে হানা দেয় পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, শৌভিক তাঁদের জানিয়েছিলেন, ঝাড়খণ্ডের কুন্ডহিতে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বৃহস্পতিবার বিকালেও তাকে এলাকায় দেখেছেন স্থানীয়রা। তবে একাদশীর দিন বাড়ি থেকে পানীয় জল নিতে বের হলে শৌভিকের পায়ে চোট লক্ষ্য করেছিলেন এলাকার মহিলারা। তার পায়ে ব্যান্ডেজ বাঁধা ছিল বলে পুলিশকে জানান তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE