Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
পুলিশের হাতে বাড়তি যন্ত্র

মাতাল ধরতে পথে গন্ধবিচার

নদিয়ায় ওই যন্ত্র বেশি ছিল না। নজরদারি বাড়াতে নতুন ১৭টি ‘অ্যালকোহল ব্রেথ অ্যানালাইজার’ যন্ত্র কিনে পুলিশের হাতে তুলে দিল জেলা প্রশাসন।

শ্বাস: চলছে পরীক্ষা।

শ্বাস: চলছে পরীক্ষা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর ও বহরমপুর শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০১৭ ০১:৫২
Share: Save:

মাস ছয়েক আগেই শুরু হয়েছিল ‘অ্যালকোহল ব্রেথ অ্যানালাইজার’ দিয়ে চালকদের শ্বাস পরীক্ষা। উদ্দেশ্য, মদ্যপান করে গাড়ি চালানোয় রাশ টানা।

নদিয়ায় ওই যন্ত্র বেশি ছিল না। নজরদারি বাড়াতে নতুন ১৭টি ‘অ্যালকোহল ব্রেথ অ্যানালাইজার’ যন্ত্র কিনে পুলিশের হাতে তুলে দিল জেলা প্রশাসন।

মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর অভিযোগে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৫ জন ধরা পড়েছেন মুর্শিদাবাদে। আটক হয়েছে ২৫টি গাড়ি। ডেপুটি পুলিশ সুপার (ট্র্যাফিক) বিকাশ ভাণ্ডারী জানান, তিন মাস আগে থেকে ওই যন্ত্র নিয়ে অভিযান চলছে। মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়লে জেল-জরিমানা দু’ই হতে পারে। নদিয়ার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত বলেন, “সহজেই মদ্যপ চালকদের চিহ্নিত করে স্পট ফাইন করা হচ্ছে।”

পথ দুর্ঘটনা কমাতে ইতিমধ্যেই ট্র্যাফিক পুলিশকে কড়া হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মদ্যপদের দাপাদাপি আটকাতে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ এসেছে নবান্ন থেকে। তার পর থেকেই পুলিশ আরও তোড়জোর করে পথে নেমেছে।

মাস তিনেক আগে বহরমপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে দ্রুত পঞ্চাননতলা রেলগেট পার হওয়ার চেষ্টা করতেই কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের কাছে রাস্তার এক মোটরবাইক আরোহীকে আটকেছিল পুলিশ। আরোহী বাইক থেকে নেমে টুলবক্স থেকে নথিপত্র বের করতে যেতেই ট্র্যাফিক পুলিশ তাঁর মুখে একটি যন্ত্র ধরে জোরে শ্বাস ছাড়তে বলে। কয়েক সেকেন্ড পরে জানিয়ে দেওয়া হয়— ‘‘ঠিক আছে, আপনি এখন যেতে পারেন।’’

সব সময়ে যে রেহাই মিলছে, এমন নয়। অনেকেই জালে ধরাও পড়ছে। নদিয়া জেলা পুলিশ মাস ছয়েক আগে সাতটি অ্যালকোহল ব্রেথ অ্যানালাইজার কিনেছিল। নানা থানা এলাকায় ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে সেগুলি পাঠানো হত। এর সঙ্গে যোগ হল আরও ১৭টি যন্ত্র।

কয়েক দিন আগে নাকাশিপাড়ার এক যুবক ধাবা থেকে মদ্যপান করে ফিরছিলেন। মদের গন্ধ ঢাকতে গুটখা পুরেছিলেন মুখে। কিন্তু পুলিশের যন্ত্রে ধরা পড়ে যান। জেলা পুলিশের দাবি, নজরদারি বাড়ায় দুর্ঘটনা কমেছে। গত তিন মাসে অন্তত ৩৫ শতাংশ দূর্ঘটনা কমেছে বলে দাবি কর্তাদের।

নদিয়ার পুলিশ সুপার শীষরাম ঝাঝারিয়া বলেন, “আমরা আগে থেকেই এই যন্ত্র ব্যবহার করছি। তবে যন্ত্রের সংখ্যা কম থাকায় বিভিন্ন থানা এলাকায় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে তা পাঠানো হত। আরও যন্ত্র পাওয়ায় আমাদের কাজ করতে বাড়তি সুবিধা হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE