আগে-পরে: তখনও রয়েছে পুকুর। উধাও পুকুর।
ছিল জল থইথই করা ভরা পুকুর। আচমকা তা হয়ে গিয়েছে সমভূমি। বেলডাঙার নজরুলপল্লী এলাকায় বিঘে দু’য়েকের একটি পুকুর মাটি ফেলে বোজানো হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের।
ঘটনার সূত্রপাত গত ২৫ ডিসেম্বর। পুরসভা লাগোয়া এই পুকুর ভরাট করা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দার বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পুলিশ আসতেই তিনজন ট্রাক্টর চালক এলাকা ছেড়ে পালায়। ধরা পড়ে একজন। বেলডাঙা-১ এর ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক অমিত ঘোষের অভিযোগের ভিত্তিতে ভরাট আটকায় পুলিশ।
কিন্তু সোমবার এলাকায় গিয়ে দো গেল, পুকুরের সিংহভাগই ভরাট হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, জানুয়ারির শেষ দিক থেকে রাতের অন্ধকারে ওই পুকুর ভরাটের কাজ শুরু হয়েছে। এক রাতেই ৫০ ট্রাক্টর মাটি ফেলা হয়েছে ওই পুকুরে।
বেলডাঙা পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড লাগোয়া নজরুলপল্লীতে বিঘে আটেক জমি রয়েছে। ওই জমিতে বাগান, পুকুর ও বাড়ি রয়েছে। পুরপ্রধান ভরত ঝাওর বলেন, ‘‘পুলিশকে বিষয়টি দেখতে বলেছিলাম। তারপর কী হয়েছে, জানি না।’’ অমিতবাবু জানান, তাঁর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতেই ওই পুকুর ভরাট বন্ধ হয়। কিন্তু তারপরেও ফের কী ভাবে মাটি ফেলা হল, বুঝতে পারছেন না। পুকুর ভরাট কোনও ভাবেই আইনসিদ্ধ নয়। এলাকার লোকজন এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির আঙুল তুলছেন। জেলা পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, ‘‘বেলডাঙায় ওসি বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।’’
বেলডাঙার ওসি সমিত তালুকদার বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ বেলডাঙা-১ ব্লকের বিডিও শুভ্রাংশু মণ্ডল বলেন, ‘‘পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত চালাচ্ছে।’’ মালিকপক্ষের তরফে নজরুলপল্লীর ওই পুকুর দেখাশোনা করেন রফিকুল হাসান। তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকায় কয়েক ভাড়াটিয়া রয়েছেন। ওরাই বলতে পারবে, কেন পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।’’ আমার কিছু বলার নেই। প্রশাসন এ বিষয়ে যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেবে।’’ স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পুকুর ভরাট করে ওই জমি বসতবাড়ি হিসেবে বিক্রি হবে। এই ষড়যন্ত্রে প্রশাসনও জড়িত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy