প্রতীকী ছবি।
পুনর্বাসন ছাড়া রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ নয়, দু’দিন আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। তা সত্ত্বেও রবিবার নিউ ফরাক্কা জংশন রেল স্টেশনে রেলের জমি থেকে জবরদখলকারী ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ শুরু করল রেল।
রবিবার সকাল থেকেই জেসিবি নিয়ে উচ্ছেদে নেমে পড়ে রেল কর্মীরা। সঙ্গে ছিলেন রেল নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানেরা। তবে কোনও রকম বাধার মুখে পড়তে হয়নি রেল কর্মীদের। শাসক বা বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে প্রতিরোধ আসেনি। ফলে কাজ এগিয়েছে নির্বিঘ্নেই।
স্টেশন লাগোয়া ওই রেলের জমিতে প্রায় শতাধিক দোকানপাট রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রায় ৪০ বছর থেকে ব্যবসা করছেন তারা। উচ্ছেদের পর তাঁরা কোথায় যাবেন? দাবি, তাই রেলই পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিক তাঁদের।
রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দীর্ঘ দিন ধরে তাঁদের উচ্ছেদের চেষ্টা হচ্ছিল। ৭-৮ বার নোটিসও দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। শনিবারও তাঁদের রেলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয় নিজেদেরই সমস্ত সামগ্রী নিয়ে রবিবার সকালের মধ্যেই দোকান ঘর ভেঙে নিতে। কিন্তু প্রায় কেউই তা করেনি। ফলে ভাঙচুর করার কাজ শুরু করা হয়েছে। ভাঙচুর শুরু হতেই ব্যবসায়ীরা নিজেদের দোকান থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে শুরু করেন।
রেলের এই ভাঙচুরে অবশ্য স্থানীয় বাসিন্দাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা মামুদ শেখ বলেন, “নিউ ফরাক্কা জংশন স্টেশনকে মডেল স্টেশন ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না রেলের জমি এভাবে জবরদখল থাকায়। আমরা সকলেই চাই পরিসর বাড়ুক নিউ ফরাক্কা রেল স্টেশনের।”
এই রেলের জমিতেই সেলুনের ব্যবসা ছিল বাবলু প্রামাণিকের। বলছেন, “কার্যত পথে বসলাম শতাধিক ব্যবসায়ী। রেল এখানে পুনর্বাসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিক।”
নিউ ফরাক্কার স্টেশন ম্যানেজার নবীন কুমার বলেন, “বহু দিন ধরে চেষ্টা চলছিল। এই জমি দরকার স্টেশনটির উন্নয়নের জন্য। বার বার নোটিসও দেওয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের। কয়েক দিন ধরেই এই উচ্ছেদ চলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy