Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

মেয়ের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র রেখে দুঃসাহসিক ডাকাতি জগদ্দলে

প্রথমে তালা ভেঙে বাড়িতে ঢোকা। তার পরে, তরুণী কন্যাকে ঘুম থেকে তুলে, তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে প্রায় হাজার কুড়ি টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে গেল ডাকাত দল। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় এখনও আতঙ্ক কাটেনি বড়ুয়া পরিবারের।

তছনছ হয়ে যাওয়া ঘরে নমিতা দেবী এবং সুনন্দা বড়ুয়া। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

তছনছ হয়ে যাওয়া ঘরে নমিতা দেবী এবং সুনন্দা বড়ুয়া। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৫ ১৩:১০
Share: Save:

প্রথমে তালা ভেঙে বাড়িতে ঢোকা। তার পরে, তরুণী কন্যাকে ঘুম থেকে তুলে, তার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে প্রায় হাজার কুড়ি টাকা ও কয়েক ভরি সোনার গয়না নিয়ে পালিয়ে গেল ডাকাত দল।

মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় এখনও আতঙ্ক কাটেনি বড়ুয়া পরিবারের। পুলিশ জানিয়েছে, জগদ্দলের পূর্ব কাপতেপাড়ার বাসিন্দা স্বরূপ বড়ুয়া ওই রাতে ঘুমোচ্ছিলেন বাড়ি লাগোয়া তাঁর ইলেকট্রিকের দোকানে। ঘরে ছিলেন স্ত্রী নমিতা বড়ুয়া এবং মেয়ে সুনন্দা বড়ুয়া। রাত দু’টো নাগাদ ৪ জন ডাকাত তালা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ঘরে ঢুকে প্রথমেই তারা সুনন্দার মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে নমিতা দেবীকে হুমকি দেয়। ঘরে যা আছে, চুপচাপ সব কিছু তাদের হাতে তুলে দেওয়ার হুকুম দেয় ডাকাতেরা। নমিতা দেবী আলমারির চাবি বের করে দিলে প্রায় হাজার কুড়ি টাকা এবং কয়েক ভরি সোনার গয়না সঙ্গে আনা ব্যাগে ভরে নেয় তারা। চলে যাওয়ার আগে নমিতা দেবীর শাড়ি দিয়ে তারা মা-মেয়েকে বেঁধে রেখে যায়। ডাকাতেরা চলে যাওয়ার ঘণ্টাখানেক পরে কোনও মতে শাড়ির ফাঁস আলগা করে নিজেকে ছাড়ায় সুনন্দা। তার পরে মাকে ছাড়ায়। বাইরের ঘরে গিয়ে স্বরূপবাবুকে সব কথা জানানোর পর পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, ডাকাতদের মুখ বাঁধা ছিল বলে নমিতা দেবী এবং সুনন্দা কাউকে চিনতে পারেননি। তবে তাঁরা জানিয়েছেন, ৪ জন ডাকাতের কারও বয়স ২৫-২৬-এর বেশি হবে না। পুলিশ ঘটনাটির তদন্ত করছে।


এখনও আতঙ্ক কাটেনি মা-মেয়ের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

robber jagaddal police arms
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE