Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪

গোষ্ঠীবাজি নিয়ে বার্তা শঙ্করের

দলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ সম্প্রতি বীরনগরের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে এই কোন্দল মেটানোর বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তৈরি করে দিয়েছেন গাইডলাইন।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সম্রাট চন্দ
বীরনগর  শেষ আপডেট: ১৮ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:২৯
Share: Save:

বীরনগরে দলের কোন্দল নিয়ে বার বার বিব্রত হতে হয়েছে তৃণমূলকে। জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বকে বারবার হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। এবার দুই শিবিরকেই সংযত হতে বলল শাসক দল।

দলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ সম্প্রতি বীরনগরের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করে এই কোন্দল মেটানোর বিষয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তৈরি করে দিয়েছেন গাইডলাইন।

পুরভোটের আগে বীরনগর শহরে শাসক দলের কোন্দল ক্রমশ তাদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পুরপ্রধান এবং উপ পুরপ্রধানের শিবিরের দ্বন্দ্ব একাধিকবার সামনে এসেছে এর মধ্যে। কখনও তালা পড়েছে পুরভবনে। আবার কখনও ফেরত গিয়েছে উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ। ২০১৭ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো বদলেছে পুরপ্রধান। দুই শিবিরই একে অপরের দিকে তোপ দেগেছে একাধিকবার। সম্প্রতি পার্ক, শেড, নিকাশি নালা সংস্কারের কাজ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। উভয়েই একে অপরের দিকে হামলারও অভিযোগ তোলে। এর আগে নানা সময়ে দলের রাজ্য এবং জেলা নেতৃত্বকে বিব্রত হতে হয়েছে জেলার এই পুরসভার কাজিয়া নিয়ে।

কয়েক বছর আগে একটি কমিটিও গড়ে দেওয়া হয়। যেখানে ছিলেন স্থানীয় রানাঘাট উত্তর পশ্চিমের বিধায়ক শঙ্কর সিংহ, পুরপ্রধান পার্থ চট্টোপাধ্যায়, উপ পুরপ্রধান গোবিন্দ পোদ্দার-সহ জনা কয়েক কাউন্সিলর। কিন্তু এই কমিটি গড়েও সমস্যা মেটেনি।

সম্প্রতি প্রকাশ্য ঝামেলার পরে দলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর সিংহ দুই শিবিরকে নিয়েই বৈঠকে বসেন। ছিলেন পুরসভার পুরপ্রধান, উপ পুরপ্রধান-সহ ১৪ জন কাউন্সিলরই। সেই বৈঠকেই দুই শিবিরকে সতর্ক করেন শঙ্কর। তৈরি করে দেন কিছু গাইডলাইন। বলা হয়েছে, উন্নয়নের কাজের ক্ষেত্রে যে সমস্ত এলাকা পিছিয়ে আছে সেখানে আগে জোর দিতে হবে। কোন্দল বা যে কারণই হোক না কেন, উন্নয়নের টাকা যেন ফেরত না যায় তা দেখতে বলা হয়েছে।

পাশাপাশি, আটকে থাকা রবীন্দ্র ভবনের কাজ দ্রুত শেষ করার বিষয়ে যাতে কোনও বাধা না আসে সেই বার্তাও দিয়েছেন শঙ্কর। বিভিন্ন এলাকায় উন্নয়নের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলেছেন জেলা সভাপতি। কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে কাজ করার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য থেকেও দূরে থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।

যদিও এর আগেও একাধিকবার দলের রাজ্য এবং জেলা নেতারা তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এবার ফল মিলবে কি না সেটাই দেখার। যদিও বৈঠকের বিষয় দলের অভ্যন্তরীণ বলে মন্তব্য এড়িয়েছেন শঙ্কর। তিনি বলেন, “সবার সঙ্গেই কথা হয়েছে। আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Sankar Singha TMC Inner Clash
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE