১৭ লক্ষ টাকার সামগ্রীর নিয়ে মৈত্রী এক্সপ্রেসের চেপে বাংলাদেশের যাওয়ার পথে আটক দুই যাত্রী। বুধবার গেদে স্টেশনে। ছবি সুদেব দাস।
মাত্র তিন মাসের ব্যবধান। আবারও বাংলাদেশগামী মৈত্রী এক্সপ্রেস থেকে উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ প্রসাধন সামগ্রী, সিগারেট, মোবাইল ফোন, ওষুধ ইত্যাদি যার বাজারদর আনুমানিক ৫০ লক্ষ টাকারও বেশি। এতে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে কলকাতা স্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
বুধবার সকালে বাংলাদেশগামী আপ মৈত্রী এক্সপ্রেস নদিয়ার গেদে স্টেশনে থামতেই অন্য দিনের মতো রেল রক্ষী বাহিনী ও বিএসএফ যৌথ ভাবে তল্লাশি শুরু করে। উদ্ধার হয় ১১৩টি ব্যাগ। সূত্রের খবর, অবৈধ ভাবে ওই সামগ্রী এ দেশ থেকে বাংলাদেশে পাচারের চেষ্টার অভিযোগে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। দু’জনেই ভারতের নাগরিক। তাদের কাছে থাকা ব্যাগ থেকে ১৭ লক্ষ টাকার সামগ্রী মিলেছে। যদিও অন্যান্য সামগ্রী নিজেদের বলে কোনও রেলযাত্রী দাবি করেননি।
গত ২১ জুন এ ভাবেই মৈত্রী এক্সপ্রেসে চেপে ১৫ জন যাত্রী প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে বাংলাদেশে পাড়ি দেওয়ার ফন্দি এঁটেছিল। গেদে স্টেশনে তল্লাশির সময়ে তাদেরকে ধরে ফেলে যৌথ বাহিনী। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিলের শুরুতে ভারত-বাংলাদেশ চলাচলকারী মৈত্রী, বন্ধন এবং মিতালি এক্সপ্রেসের যাত্রী নিরাপত্তার দায়িত্ব সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাত থেকে সরিয়ে রেলরক্ষী বাহিনীকে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে আন্তর্জাতিক ট্রেনের নিরাপত্তা জোরদার হওয়ার বদলে উদ্বেগজনক ছবিটাই সামনে এসেছে।
কী ভাবে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ওই বিপুল পরিমাণ সামগ্রী যাত্রীদের মাধ্যমে ট্রেনে উঠল?
রেল রক্ষী বাহিনীর ইনস্পেক্টর জেনারেল পরমশিব বলেন, "কলকাতা রেল স্টেশনে মৈত্রী এক্সপ্রেসের যাত্রীদের তল্লাশির দায়িত্ব আমাদের নয়। শুল্ক দফতর কর্মীরাই ওই দায়িত্ব পালন করেন।"
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক অমরেশকুমার আর্য বলেন, " মৈত্রী এক্সপ্রেস ছাড়ার আগে শেষ মুহূর্তে অনেক যাত্রী কলকাতা স্টেশনে পৌঁছচ্ছেন। হতে পারে, তাঁদের ক্ষেত্রে তাড়াহুড়োয় ঠিক মতো তল্লাশিহচ্ছে না।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy