পুজোর প্রস্তুতি। বাদকুল্লায়, শনিবার। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য
দুর্গাপুজো মানেই চেনা চারপাশ হঠাৎ কেমন বদলে যাওয়া। গম্ভীর মানুষগুলো হাসিখুশি হয়ে ওঠেন এই সময়ে। মহালয়ার অনেক আগে থেকেই আমার পুজো শুরু হয়ে যেত। তখন বাড়িতে সবথেকে ছোট হওয়ায় বেশ ক’টা নতুন জামা-প্যান্ট হত। লুকিয়ে লুকিয়ে সেগুলোর গন্ধ শুঁকতাম আর কোনদিন কোনটা পরব তার পরিকল্পনা করতাম। দেখতে-দেখতে পুজো চলে আসত।
মহালয়ার আগের দিন রেডিওটা দোকান থেকে সারিয়ে আনা হত। কারণ, বছরের ওই একটা দিনই রেডিওর দরকার পড়ত। ভোরবেলা বিছানায় শুয়ে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া শোনার অনুভূতি বলে বোঝানোর নয়। তার পর তর্পণের জন্য বাবার হাত ধরে গঙ্গার ঘাটে যাওয়া। পুজোর ক’টা দিন বেশ জমিয়ে খাওয়া হত। তার পর বিসর্জন শেষে বড়দের প্রণাম করতে যাওয়া আর নাড়ু,গজা, নিমকি খাওয়া।
এখন কর্মব্যস্ততায় সেই দিনগুলো হারিয়ে গিয়েছে। পুজোয় কোনওদিনই চার দিন ছুটি পাই না, তার উপর এ বার তো করোনা! সব ছুটি মাথায় উঠেছে। সেটাই স্বাভাবিক। এ বার পুজোয় শুধু সপ্তমীর দিন ছুটি। তাতে অবশ্য পরোয়া নেই। ওই এক দিনই ঠাকুর দেখব। হইহই করব, পরিবারের সঙ্গে কাটাবো। আর বাকি দিনগুলো থাকবো রোগীদের সঙ্গে। ঠাকুর দেখা ও রোগীদের দেখা দু’টোর কোনওটাতেই ছেদ পড়বে না।
অনুলিখন: কল্লোল প্রামাণিক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy