E-Paper

ফুঁসছে একাধিক নদী, জলমগ্ন ৮ গ্রাম

ফলে সমস্ত নদীর জল ছাড়াও এলাকার ভারি বর্ষণের জল কান্দি মহকুমার পাঁচটি ব্লকের মধ্যে চারটি ব্লকের পুকুর, খেত ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে কান্দি হিজল বিলে গিয়ে মিশছে।

কৌশিক সাহা

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৫ ০৮:৩১
তেলকারের বিল ভাসিয়ে জল বইছে বহরমপুরের রানীনগর গ্রামে ঢোকার রাস্তায়।

তেলকারের বিল ভাসিয়ে জল বইছে বহরমপুরের রানীনগর গ্রামে ঢোকার রাস্তায়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

ছোট নাগপুরের মালভূমি থেকে উৎপত্তি হয়েছে ময়ূরাক্ষী, ব্রাহ্মণী ও দ্বারকার মতো নদ, নদীগুলি। পড়শি জেলা বীরভূমের উপর দিয়ে এই জেলার কান্দি মহকুমায় প্রবেশ করেছে। ওই মাঝপথে আরও কিছু ছোট নদী যেমন কুঁয়ে বা কোপাই, ডাউকি বা মণী করণিকা নদী, কানা ময়ূরাক্ষী নদীগুলি একত্রিত হয়ে কান্দির হিজল বিলে গিয়ে মিশেছে। সেখান থেকে পূর্ব দিকে প্রবাহিত হয়ে ভরতপুর ১ ব্লকের আমলাই গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় বাবলা নাম নিয়ে কাটোয়ার কাছে ভাগীরথী নদীতে গিয়ে মিশছে। ফলে সমস্ত নদীর জল ছাড়াও এলাকার ভারি বর্ষণের জল কান্দি মহকুমার পাঁচটি ব্লকের মধ্যে চারটি ব্লকের পুকুর, খেত ভাসিয়ে নিয়ে গিয়ে কান্দি হিজল বিলে গিয়ে মিশছে। এলাকার বাসিন্দারা কান্দির হিজল অঞ্চলকে ‘বেসিন’ নামও রেখেছেন। নদী বিশেষজ্ঞ তথা অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সূর্য্যেন্দু দে বলেন, “ছোট নাগপুরের মালভূমি অঞ্চল থেকে উৎপত্তি হওয়া ময়ূরাক্ষী, দ্বারকা ও ব্রাহ্মণী নদীগুলি যেমন আছে ঠিক একই সঙ্গে মাঝে বীরভূম থেকে অনেক ছোট ছোট নদী উৎপত্তি হয়ে কান্দি মহকুমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সঙ্গে এ বারের বর্ষণের জলটাও কম নয়! নদীগুলি দ্রুত ড্রেজিং করে জল ধারণের ক্ষমতা বাড়ানো জরুরি।”

প্রশাসনিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার বৈধরা জলাধার থেকে এক সঙ্গে ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ার কারণে নতুন করে খড়গ্রাম ব্লকের ঝিল্লী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার টিটিডাঙা, ভুসকূল, উপর ও নিচু যাদবপুর, কেলাই, বাজিতপুর, পোড়াডাঙা ও পাহাড়পুরের মতো আটটি গ্রামের প্রায় নয় হাজার পরিবার জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের যাতায়াতের জন্য নৌকা ও স্পিডবোটের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়ে খড়গ্রামের বিডিও মিলনী দাস বলেন, “গ্রামগুলি জলবন্দি হয়ে পড়েছে। তাঁদের মধ্যে ৩০ থেকে ৩৫টি বাড়ি জলের কারণে ক্ষতি হয়েছে। আর ছয়টি পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

এ দিন ওই জলবন্দি হয়ে যাওয়া গ্রাম গুলি ঘুরে দেখেন খড়গ্রামের বিধায়ক আশিষ মার্জিত। তিনি বলেন, “আমাদের সেচ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়ার আমার কাছে এলাকার নদীগুলির পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলেন। আমি সেই রিপোর্ট দিয়েছি। আশা করি, নদীগুলি সংস্কার হবে।”

মানস ভুঁইয়া মঙ্গলবার সিউড়িতে বলেন, ‘‘আমরা মালদহ ও মুর্শিদাবাদকে বাঁচাতে বিহার ও ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ১৫৫০ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছি। পটনায় বৈঠক করেছি।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kandi

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy