মাংসটা শাল পাতায় মুড়ে দিয়েছেন দোকানি। কিন্তু ক্রেতা বেশ বিরক্ত। তাঁর বক্তব্য, শাল পাতায় মুড়ে দিলে থলির ভিতরে মাংস ছড়িয়ে যাবে। অন্য মালপত্রের সঙ্গে মাখামাখি হবে। রক্ত গড়িয়ে পড়বে।
দোকানির কাছে কাপড়ের ব্যাগ আছে। কিন্তু তাতে হাত দিতে তিনি রাজি নন। তাঁর কথায়, “কাপড়ের ব্যাগ দিতে পারি। কিন্তু তার জন্য চার টাকা বেশি দিতে হবে। কারণ, এক কেজি পোল্ট্রির মাংস বেচে এত টাকা লাভ হয় না যাতে চার টাকার ব্যাগ ফ্রি দেওয়া যেতে পারে।’’ অগত্যা চার টাকা গচ্চা দিয়েই কাপড়ের ব্যাগ নিতে হয় ক্রেতাকে।
কৃষ্ণনগরের পাত্রবাজারের এটা চেনা ছবি। ছোট দোকানগুলো এই ভাবেই চলছে। সেটা মাছের বাজার হোক বা আনাজের। মাংসের হোক বা মুদির। খুব বড় দোকানে কাপড়ের ব্যাগ দিলে পয়সা নেওয়া হচ্ছে না। কিন্তু ছোট ব্যবসায়ীরা বলছেন, “টাকা নেওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই।”