তখনও অন্ধকার কাটেনি। ঝাঁপ দিতে প্রস্তুত সাঁতারুরা।— নিজস্ব চিত্র
মুর্শিদাবাদ সন্তরণ সংস্থা আয়োজিত সাঁতার প্রতিযোগিতায় প্রথম বার যোগ দিয়েই প্রথম হলেন স্পেনের হোসে সুইস লোরসা। রবিবার জঙ্গিপুরের আহিরণ ঘাট থেকে বহরমপুর গোরাবাজার কলেজ ঘাট পর্যন্ত ভাগীরথীর বুকে ৮১ কিলোমিটার পথ পার হতে তাঁর সময় লাগে ১০ ঘন্টা ৫৭ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড।
দ্বিতীয় হয়েছেন বাংলাদেশের মহম্মদ মুনির হোসেন এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন বহরমপুরের বিশ্বনাথ অধিকারী। তাঁদের সময় লাগে যথাক্রমে ১১ ঘন্টা ২০ মিনিট ১৭ সেকেন্ড ও ১১ ঘন্টা ২৮ মিনিট ৩৯ সেকেন্ড। সাঁতার প্রতিযোগিতায় এ বছর স্পেন, বাংলাদেশ, কর্নাটক, মহারাষ্ট্র-সহ এ রাজ্যের প্রায় ১৯ জন সাঁতারু প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিলেন।
অন্য দিকে, ১৯ কিলোমিটার সাঁতার প্রতিযোগিতায় মহিলা বিভাগে যোগ দেন ১৩ জন। প্রথম হন কলকাতা কলেজ স্কোয়ারের মধুলেখা হাজরা। তাঁর সময় লাগে ২ ঘণ্টা ১৩ মিনিট ৩৫ সেকেন্ড, দ্বিতীয় সৃষ্টি উপাধ্যায়ের সময় লেগেছে ২ ঘন্টা ২৩ মিনিট ৯ সেকেন্ড এবং তৃতীয় হন বাংলাদেশের নাজমা খাতুন। তিনি সময় নিয়েছেন ২ ঘণ্টা ২৫ মিনিট ১৭ সেকেন্ড। ১৯ কিলোমিটার পুরুষ বিভাগে মোট ৪১ জন সাঁতারু যোগ দেন। প্রথম হন বাংলাদেশের ফায়জল আহমেদ। তাঁর সময় লাগে ২ ঘন্টা ১৬ মিনিট ৮ সেকেন্ড। বাংলাদেশের পলাশ চৌধুরী ২ ঘন্টা ১৬ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে দ্বিতীয় হন এবং মহারাষ্ট্রের মৈনাক বৈভব চাপ্পিকর তৃতীয় হন। ওই পথ পার হতে তাঁর সময় লেগেছে ২ ঘণ্টা ২০ মিনিট ৪৫ সেকেন্ড। তবে সুতির আহিরণে চরম অব্যবস্থার মধ্যে দিয়ে এ দিন সাঁতার শুরু হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন প্রতিযোগীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, ঘাটে পর্যাপ্ত আলো ও নৌকো ছিল না। ফলে এক হাঁটু কাদা ভেঙে কোনও রকমে একটি ভটভটি নৌকোয় ওঠেন প্রতিযোগীরা। এক বিদেশি প্রতিযোগী তো রীতিমতো আছাড় খেয়ে পড়েন কাদার মধ্যে। ভারসাম্য রাখতে না পেরে পড়ে যান এক মহিলা প্রতিযোগীও।
মহারাষ্ট্রের এক প্রতিযোগী এই অব্যবস্থা দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তিনি বলেন, “ঘাটে আলোর ব্যবস্থা নেই। মানুষের ভিড় সামলে প্রতিযোগীদের মাঝ নদীতে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঠিকমতো নৌকো না থাকায় নিজেদেরই কাদা ভেঙে একটি ছোটো নৌকোয় উঠতে হয়েছে। একটা ফরাস পর্যন্ত করা হয়নি। উদ্যোক্তাদের জানাতে গেলে একে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপিয়েছেন। এত বড় একটা সাঁতার প্রতিযোগিতায় এমন অব্যবস্থা মানা যায় না।” আহিরণ শাখা কমিটির কর্তা গৌতম দাস বলছেন, ‘‘নদীতে এ বার এতটাই কাদা ছিল যে, নৌকো ভেড়ানো যায়নি। বাঁশের পাটাতন থাকলেও সময়ের অভাবে ব্যবহার করা যায়নি। তাই কাদায় নামতে গিয়ে কিছুটা অসুবিধেয় পড়তে হয় প্রতিযোগীদের।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy