শান্তিপুর-শিয়ালদহ শাখায় চালু কৃষক স্পেশাল। মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র।
কৃষক স্পেশাল ট্রেন চালু হল শান্তিপুর এবং গেদে থেকে। মঙ্গলবার উদ্বোধন করেন রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার। উপস্থিত ছিলেন শিয়ালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সুরেন্দ্রপ্রতা সিংহ-সহ পদস্থ আধিকারিকেরা।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার প্রান্তে গেদে স্টেশন থেকে প্রতি দিন সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে এই ট্রেন এবং তা শিয়ালদহ পৌঁছবে ১১টা ১০ মিনিটে। আবার শান্তিপুর স্টেশন থেকে এই ট্রেন ছাড়বে বিকেল ৩টে ১০ মিনিটে। তা শিয়ালদহ পৌঁছবে বিকেল ৫টা ৩৪ মিনিটে। আবার সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে কৃষক স্পেশাল ট্রেন শিয়ালদহ থেকে রওনা দিয়ে শান্তিপুর পৌঁছবে দুপুর ১টা ৫২ মিনিটে। আর একটি কৃষক স্পেশাল ট্রেন সকাল ৭টায় রানাঘাট থেকে রওনা দিয়ে গেদে স্টেশনে পৌছাবে সকাল ৭টা ৫৮ মিনিটে। দু’টি ট্রেনই গ্যালোপিং হবে। তবে গুরুত্বপূর্ণ এবং চাষিদের জন্য দরকারি স্টেশনগুলিতে দাঁড়াবে।
শিয়ালদহের ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সুরেন্দ্রপ্রতাপ সিংহ বলেন, ‘‘চাষিরা এবং যাঁরা পণ্য সামগ্রী নিয়ে যান তাঁদের জন্যই এই ট্রেন।” প্রধানত চাষিদের জন্যই এই ট্রেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তিপুর থেকে এই ট্রেন শিয়ালদহ অভিমুখে রওনা দেবে বিকেল ৩টে ১০ মিনিটে। আবার আনাজ, ফুল-সহ বেশ কিছু কৃষিজ পণ্য সামগ্রী নিয়ে যাওয়ার জন্য সকালের দিকে ট্রেন দরকার বলেই অনেকে মনে করছেন। তবে বিকেলের দিকে এই ট্রেনে ফুলিয়া, শান্তিপুর এবং আশপাশের এলাকার ছানা ব্যবসায়ীরা যাঁরা বিপুল সংখ্যায় কলকাতা যান ছানা নিয়ে, তাঁদের জন্যও সুবিধা হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এ দিন যে ট্রেন শান্তিপুর থেকে যাত্রা শুরু করল তাতে চাষিদের সংখ্যা ছিল বেশ কম। ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার বলেন, “মাত্র শুরু হল। প্রচার হয়ে গেলে কৃষকদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। চাহিদা অনুযায়ী ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধি এবং সময় পরিবর্তনের কথা ভাবা হবে।” রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “কৃষক, ভেন্ডার, দুধ ব্যবসায়ীদের মতো মানুষদের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy