নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে

তৃতীয় এবং চতুর্থ শ্রেণির অস্থায়ী কিছু কর্মী নিয়োগ নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার জেরে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কিছুটা উত্তেজনাও ছড়ায়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ব্যাখ্যায় বিভ্রান্তি কাটে। গত ১২ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ওই দু’টি শ্রেণিতে কিছু কর্মী নিয়োগের কথা জানানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ওই বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরপরই রাজ্য সরকারের তরফে ওই পদে স্থায়ী কর্মী নিয়োগের অনুমতি মেলে। উল্লেখ্য, কর্মী সঙ্কটের কথা জানিয়ে আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে আবেদন জানানো হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘স্থায়ী কর্মীর অনুমোদন মেলায় অস্থায়ী কর্মী নেওয়ার বিষয়টি বাতিল করে দেওয়া হয়। সে বিষয়ে নতুন করে বিজ্ঞপ্তি ওয়েবসাইটেও আপলোড করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেও বিজ্ঞপ্তি আকারে তা সাঁটানো হয়েছে।’’ কিন্তু, বিভ্রান্তি তৈরি হল কী ভাবে? বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটি সূত্রের দাবি, অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের ওই খবর অন্য কিছু কাগজে প্রকাশ হয়। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হলেও, বাতিল করার কথা জানানো হয়নি। গোল সেখানেই। এ দিন পরীক্ষা দিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন জনা পঞ্চাশেক পরীক্ষার্থী। যাদবপুর থেকে এসেছিলেন প্রমীত চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘একটি নিয়োগ সংক্রান্ত পত্রিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী পদে কর্মী নিয়োগের কথা জেনে ইন্টারভিউ দিতে এসেছিলাম। এসে জানতে পারি ইন্টারভিউ বাতিল করা হয়েছে। নোটিসও দেওয়া হয়েছে।’’ পরীক্ষা বাতিল নিয়ে প্রথমে তুমুল বিভ্রান্তি ছড়ায়। আসে পুলিশও। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।