বাঙালির পুজো মানেই শারদ সাহিত্য, এই চল কবে থেকে হয়েছিল তার হদিস দিতে পারবেন হয়তো সাহিত্যের ইতিহাসকারেরা।
কিন্তু চলটা চলেইছে।
মহালয়ার বিকালে বহরমপুরে প্রকাশিত হয় সুব্রত হাজরা সম্পাদিত পত্রিকা ‘একুশে কবিতা’। তাতে আছে শতাধিক কবির কবিতা এবং ছ’জনের গদ্য। প্রচ্ছদ এঁকেছেন অর্পণ সাধুখাঁ। বেরিয়েছে কানাইলাল বিশ্বাসের প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘রোদের ডানায় সূর্যাস্ত’ও। প্রচ্ছদ গৌরগোপাল ভৌমিক। ওই দিন বহরমপুরে বেরোয় উৎপলকুমার গুপ্ত সম্পাদিত ‘সময়’ পত্রিকার ৫০ বছর পূর্তি সংখ্যা। প্রচ্ছদশিল্পী কবি নাসের হোসেন। বঞ্চিত নয় ছোটরাও। আজিমগঞ্জ থেকে প্রকাশিত হয়েছে সুজিতকুমার পাত্র সম্পাদিত ‘কলকাকলি’। রয়েছে গল্প-ছবি, বিশেষ রচনা, গল্প, ভ্রমণ, কবিতা, ছড়া। প্রচ্ছদ সৈয়দ সুশোভন রফির করা। অভিজিৎ রায় সম্পাদিত ‘কবিতা চর্চার পাক্ষিক আকাশ’ নামে তন্বী পত্রিকা ভূমিষ্ঠ হয়েছিল গত ১ জুলাই। শনিবার সপ্তম সংখ্যা ছাড়াও বেরোয় অভিজিতের ‘মনখারাপের গদ্য’। রবিবার পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সঙ্ঘের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির পক্ষ থেকে প্রকাশ করা ‘কৃষ্টিকথা’ নামে কাব্য সংকলন। প্রচ্ছদশিল্পী চন্দন বিশ্বাস।
বহরমপুর থেকে বেরোয় দেবাশিস সাহা সম্পাদিত ‘ছাপাখানার গলি’। তাদেরও শারদ সংখ্যা বেশ স্বাস্থ্যবান। প্রচ্ছদ, কবি সমীরণ ঘোষ। বহরমপুর থেকে পুজোয় প্রকাশিত এক মাত্র মহিলা সম্পাদিত পত্রিকা ‘নিনি’-তে রয়েছে দুই বাংলার কবিতা। সম্পাদক নীলিমা সাহা, প্রচ্ছদ নিখিলকুমার সরকারের। প্রকাশিত হয়েছে কৌশিক গুড়িয়া সম্পাদিত ‘রবিবার পত্রিকা’র শারদ সংখ্যাও। প্রচ্ছদ সম্পাদকের।
‘বাসভূমি’ থেকে বেরিয়েছে অরূপ চন্দ্র সম্পাদিত ‘মুর্শিদাবাদ ইতিবৃত্ত’ প্রবন্ধ গ্রন্থের দ্বিতীয় খণ্ড। রয়েছে ১৮টি প্রবন্ধ ও কিছু আলোকচিত্র। নবীন-প্রবীণ মিলিয়ে ৩৯ জন কবির পাঁচটি করে কবিতা নিয়ে সঙ্কলিত ‘মুর্শিদাবাদের নির্বাচিত কবি ও কবিতা’ সম্পাদনা করেছেন শম্ভূ ভট্টাচার্য ও অরূপ চন্দ্র। প্রচ্ছদশিল্পী কৃষ্ণজিৎ সেনগুপ্ত। ‘আলকাপ’ থেকে প্রকাশিত হয়েছে দু’টি কাব্যগ্রন্থ— সমীরণ ঘোষের ‘চাঁদলাগা চৌষট্টি আশমান’ ও কবিরুল ইসলাম কঙ্কের ‘আয় পাখি ধান খা’। দু’টিরই প্রচ্ছদ সমীরণ ঘোষের। দেবাশিস সাহার ‘পোষা মৃতদেহ’ কাব্যগ্রন্থ (প্রকাশক ‘দৌড়’) প্রচ্ছদ বাসুদেব মণ্ডলের।
বহরমপুর থেকে পত্রপত্রিকা ও বই প্রকাশিত হয়েছে ডজনখানেকেরও বেশি। যন্ত্রস্থ আরও বেশ কিছু।
মহালয়ায় তপনকুমার বিশ্বাসের সম্পাদনায় তেহট্ট থেকে বেরিয়েছে ‘সাহিত্য অঙ্গন’। করিমপুরে দ্বিমাসিক ‘দর্পণ মুখের খোঁজে’ পত্রিকার শারদ সংখ্যায় দুই বাংলা, ত্রিপুরা, অসমের গদ্য-পদ্য। তার সম্পাদক দেবজ্যোতি কর্মকার। অনেক দিন বন্ধ থাকার পরে করিমপুর থেকে ফের বেরোচ্ছে ষাটের দশকের ছোটদের পত্রিকা “খুশি”। সম্পাদক কার্তিক ভট্টাচার্য।
শান্তিপুরের ‘সমাজের প্রতিচ্ছবি’ পত্রিকার বিষয় ‘পর্যটন’। সম্পাদক সত্যনারায়ণ গোস্বামী। ‘সময়ের ডাক’ পত্রিকাও বেরোচ্ছে, সম্পাদক বিপ্লব সরকার। ‘প্রতিবাদী চেতনা’ পত্রিকার শারদ সংখ্যা বের করেছেন সম্পাদক বিপ্লব দাশগুপ্ত। চাকদহে অরুণ ভট্টাচার্য সম্পাদিত ষান্মাসিক পত্রিকা ‘আজকের প্রহরী’র শারদ সংখ্যা প্রকাশিত। তাহেরপুর থেকে বেরোচ্ছে তারক দেবনাথ সম্পাদিত ‘খোলা চিঠি’। কবি যোগীন্দ্রনাথ সরকারের সার্ধ শতবর্ষে তাঁকেই বিষয় করেছে পীতম ভট্টাচার্যের সম্পাদিত গ্রন্থ। যোগীন্দ্রনাথের ‘হাসিখুশি’র দুটি খণ্ডই গোটা ধরা রয়েছে তাতে। নবদ্বীপ সাহিত্য সমাজের পত্রিকা ‘রামধনু’র শারদসংখ্যায় থাকছে কবি মদনমোহন তর্কালঙ্কার এবং শতবর্ষের রাস নিয়ে রচনা। নিখিল ভারত বঙ্গ সাহিত্য সম্মেলনের নবদ্বীপ শাখার মুখপত্র ‘মুক্তবাণী’র শারদসংখ্যাও প্রকাশের পথে। সম্পাদক বীথিকা ভট্টাচার্য।
দু’শো বছরের পুরনো পারিবারিক পুজো উপলক্ষে কৃষ্ণনগর থেকে ‘শারদ সংবাদ’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন সিলভি সাহা। জেলা সদর থেকেই বেরোচ্ছে পাক্ষিক “আজ কাল আগামী” পত্রিকার শারদ সংখ্যা। সম্পাদক পলাশ পাত্র।
বৃহস্পতিবার মহালয়ার আগের দিন জিয়াগঞ্জে প্রকাশ হয়েছে সমীর ঘোষ সম্পাদিত ‘অনুভব’ পত্রিকার শারদ সংখ্যার। গদ্য ও কবিতা ছাড়াও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের বিভিন্ন দিক নিয়ে আট গবেষকের প্রবন্ধ সমৃদ্ধ করেছে সংখ্যাটিকে। প্রচ্ছদ সমীরণ ঘোষের করা। পার্থ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় বাংলা-ইংরেজি দ্বিভাষিক পত্রিকা ‘দেশকাল’ও বেরিয়েছে। নতুন জামার গন্ধ ছেড়ে পাঠক এ বার নাক ডোবান কাগজের ভাঁজে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy