রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হল এক ব্যাক্তির। শনিবার বিকেলে হাঁসখালির বগুলার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম দেবানন্দ বিশ্বাস (৫০) ওরফে দীপক।
তাঁর বাড়ি বগুলা পুরাতন পাড়ায়। তিনি বগুলা স্টেশন রোডের একটি কাপড়ের দোকানে প্রায় ৮ বছর ধরে কাজ করতেন। সেই কাপড় দোকানের পাশে থাকা একটি স্টোর রুম থেকে শনিবার বিকেলে পুলিশ তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে। মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
দেবানন্দের দাদা ভবানন্দ বিশ্বাস বলেন, “ভাইয়ের আত্মহত্যা করার কোনও কারণ নেই। তা ছাড়া ওঁর মাথায় আঘাতের চিহ্ন আছে। এটা আত্মহত্যা নয়।’’ তা হলে থানায় অভিযোগ জানানি কেন? জবাবে ভবানন্দবাবু বলেন, ‘‘মৃতদেহ নিয়ে ব্যস্ত থাকায় থানায় অভিযোগ জানাতে পারিনি। যথাযথ তদন্তের জন্য থানায় লিখিত ভাবে জানাব।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বগুলার স্টেশন রোডের একটি ভাড়া বাড়িতে রঘুনাথ কুণ্ডুর কাপড়ের দোকান। সেই দোকানে দেবানন্দ বিশ্বাস-সহ প্রায় ১৫ জন কর্মী কাজ করতেন। বাড়িটির এক তলায় দোকান। দোতলাতেও ওই কাপড় দোকানের একটি কাউন্টার আছে। সেই কাউন্টারের পাশেই একটি স্টোর রুম আছে। সেখান থেকেই দেবানন্দের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
রঘুনাথ কুণ্ডু বলেন, “দেবানন্দ খুব ভাল লোক ছিলেন। শনিবার সকালে সময় মতো দোকানে এসেছিলেন। কিন্তু ১১টা নাগাদ পেট ব্যথা করছে বলে বাথরুমের দিকে যান। বাথরুম থেকে ফিরতে দেরি দেখে ওঁর খোঁজে লোক পাঠাই। খোঁজ না পেয়ে ভেবেছিলাম উনি ডাক্তার দেখাতে গিয়েছেন। কিন্ত বিকালের দিকে দমকা হাওয়ায় স্টোর রুমের দরজা খুলে যেতেই দোকানের এক কর্মীর নজরে আসে দেবানন্দের মৃতদেহ ঝুলছে।’’ পরে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। রঘুনাথবাবুর ধারণা, কোনও কারণে দেবানন্দ আত্মহত্যা করেছেন।
দোকান মালিকের দাবি, স্টোর রুমটা আমার নয়। ওটা ভাড়া বাড়ির মালিকের। কিন্তু মৃতের পরিবারের লোকজন তো আত্মহত্যার কথা মানছেন না? রঘুনাথবাবুর দাবি, “কী ভাবে ওঁর মৃত্যু হয়েছে, তা তো আমরা দেখিনি। আমরাও চাই পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখুক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy